দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এবার স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)। তবে ২০০ নম্বরের পরিবর্তে এবার ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভর্তি কমিটি। এবারের পরীক্ষায় ক, খ, গ ও ঘ এই চারটি ইউনিটে ৪০ নম্বর বহুনির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) ও ৪০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা হবে। আর বাকি ২০ নম্বর থাকবে এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফলের ওপর।
সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়ক অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, এমসিকিউ, লিখিত এবং এসএসসি ও এইচএসসি ফলাফলের ওপর মোট ১০০ নম্বরের ওপর পরীক্ষা হবে। সময় ও বিষয়ভিত্তিক প্রশ্ন ঠিক করবেন সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনরা।
এর আগে গত ২০ অক্টোবর ডিনস কমিটির এক বৈঠকে পরীক্ষার মানবণ্টনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সেখানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক থেকে ফলাফলের ওপর ৮০ নম্বরের পরিবর্তে ২০ নম্বর করার সিদ্ধান্ত হয়। আর এমসিকিউ নম্বর ৭৫ থেকে ৩০ এবং লিখিত পরীক্ষার নম্বর ৫০ করা হয়। সব মিলিয়ে ১০০ নম্বরের ওপর ভর্তিচ্ছুদের মেধাক্রম তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে আজ অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রশ্নের মানবণ্টনে ফের পরিবর্তন আনা হয়। সেখানে এমসিকিউ ৪০ নম্বর ও লিখিত পরীক্ষা ৪০ নম্বরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের স্কোর থেকে ২০ নম্বর নেওয়ার বিষয়টি আগের মতোই রাখা হয়েছে।
অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী বলেন, সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন কমানোর বিষয়ে কথা উঠলেও তা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি।
এর আগে গত অক্টোবর মাসের ডিনস কমিটির এক সভায় বিভাগীয় শহরগুলোতে পরীক্ষার কেন্দ্র নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সে সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মেনেই সব জায়গায় ভর্তি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে খুলনা বিভাগের শিক্ষার্থীরা ওই বিভাগীয় শহরের কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন। বরিশাল, রংপুর বা চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরাও সেখানকার কোনো কেন্দ্রেই পরীক্ষায় অংশ নেবেন। অর্থাৎ বিভাগীয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ঢাকায় আসতে হবে না। শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
খুলনা গেজেট / এআর