একই সময়ে মাঠে গড়িয়েছে পাঁচ লিগ। অস্ট্রেলিয়ায় বিগ ব্যাশ, নিউজিল্যান্ডে সুপার স্ম্যাশ, দক্ষিণ আফ্রিকায় এসএ ২০ আর দুবাইয়ে আইএল টি-টোয়েন্টি। নিউজিল্যান্ডের সুপার স্ম্যাশের সঙ্গে বিপিএলের তেমন সংঘর্ষ না থাকলেও বাকি তিন লিগের কারণে কাঙ্ক্ষিত অনেক খেলোয়াড়কেই পায়নি এবারের বিপিএল। অ্যালেক্স রস, কাইল মায়ার্স, জেসন রয়দের পুরো সময় পাওয়া হয়নি এসব টুর্নামেন্টের কারণেই।
গতকাল ফরচুন বরিশালের ম্যাচশেষে অধিনায়ক তামিম ইকবালের কণ্ঠেও শোনা গেল সেই একই সুর। বিপিএলের সময়সূচির পরিবর্তন চান বাংলাদেশ ক্রিকেটের অভিজ্ঞ এই তারকা। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন নিজের পছন্দের সময়ের কথাও।
সংবাদ সম্মেলনে তামিম ইকবাল বলেন, ‘আমার মনে হয় বিপিএলের প্রথম শিডিউল ছিল অক্টোবর-নভেম্বরের দিকে। এটা ভালো সময় ছিল। এ সময় এসএ-টোয়েন্টি ও আইএলটি-টোয়েন্টি এই দুই মেজর লিগের সাথে সাংঘর্ষিক হবে না।’
তামিম ইকবাল নিজের এমন পছন্দের পেছনে যুক্তিও দেখিয়েছেন, ‘একবার বিপিএলের সূচি পরিবর্তন হয় বাংলাদেশ দলের খেলা থাকায়। এছাড়া ঐ সময়েই হতো। কারণ তখন তেমন খেলা থাকে না। তখন শুধু হয়ত আবুধাবি টি-টেন। একটা টুর্নামেন্টের সাথে সাংঘর্ষিক হওয়া দুটার চেয়ে ভালো।’
একাদশে বিদেশি কম থাকলে বা দুই জন থাকলে ভালো হয় নাকি এমন প্রশ্নে তামিম বলেন, ‘দুই বিদেশি না, আমার মতে চার বিদেশিই ঠিক আছে। পিএসএলে আমাদের চেয়ে অনেক বেশি বিদেশি খেলতে যায়। অথচ পিএসএলে একসময় দল ছিল পাঁচটি।’
পিএসএলে দল সংখ্যা বিপিএলের চেয়ে কম এ নিয়ে তামিম বলেন, ‘ওখানে ক্রিকেট কোয়ালিটি এতটাই ভালো। আমরা ৭-৮টি দল নিয়ে শুরু করেও… খেলোয়াড়রা বলতে পারে দল বেশি থাকলে লোকাল প্লেয়ারদের খেলার সুযোগ বাড়ে। তবে দল কম হলে প্রতিযোগিতাও তো বাড়ে। এনসিএল, ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করার ক্ষুধা বাড়বে। আমার মতে ৬ দলের বেশি হওয়া উচিৎ নয়। ৫ দল হলে ভালো হয়।’
খুলনা গেজেট/এনএম