মুন্সীগঞ্জে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে আগের চেয়ে আজ শনিবার যাত্রী ও যানবাহনের চাপ অনেকটা কমে এসেছে। বাংলাবাজার থেকে ফেরিতে বেশি সংখ্যক যাত্রী ও যানবাহনকে ঢাকায় ফিরতে দেখা গেছে।
এদিকে, নৌরুটে লঞ্চ বন্ধ থাকলেও কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ঘাট অভিমুখে ও ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশের নজরদারি, চেকপোস্ট লক্ষ করা গেছে। এতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে হয়ে শতশত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীরা ঘাটে এসে উপস্থিত হচ্ছে। জরুরি ও বিধিনিষেধের আওতার বাইরের যাত্রী ও যানবাহন পারাপারের কথা থাকলেও অনেকেই পারাপার হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একাধিক চেকপোস্ট থাকায় সড়কটি যানবাহনশূন্য হয়ে রয়েছে। তবে, কিছু অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে দেখা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, নৌরুটে বর্তমানে সাতটি ফেরি চলাচল করছে। ঘাটে ১৫ থেকে ২০টি ব্যক্তিগত ও পণ্যবাহী গাড়ি আছে। তবে বাংলাবাজার থেকে যেসব ফেরিগুলো আসছে, সেগুলোতে যাত্রী ও ছোট যানবাহনের চাপ রয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) শিমুলিয়া লঞ্চঘাটের কর্মকর্তা মো. সোলেমান জানান, বিধিনিষেধের নিয়ম অনুযায়ী আজ আর লঞ্চ চলেনি, লঞ্চঘাটে যাত্রীও নেই। ঘাটে যেসব যাত্রী আসছে, তারা ফেরিতে পার হচ্ছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সুমন দেব জানান, মুন্সীগঞ্জে একাধিক চেকপোস্ট রয়েছে। সরকারি বিধিনিষেধ মানতে যাত্রীদের বাধ্য করা হবে। ঢাকা-চটগ্রাম ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক এবং শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম