খুলনা, বাংলাদেশ | ২৩ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৮ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক সচিব আমিনুল ও নজিবুর রহমান ৩ দিনের রিমান্ডে
  যাত্রাবাড়ি থানার মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডে দীপু মনি-সালমান-পলক-মামুন
  সুন্দরবনের বাঘশুমারির চূড়ান্ত ফল ঘোষণা আজ

বিদায়ী বছরে নির্বাচনী উৎসবে মুখর ছিল যশোরের জনপদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

২০২১ সালে যশোর জুড়ে ছিল নির্বাচন। একের পর এক ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। এক্ষেত্রে যশোরের নির্বাচনী চিত্র ছিল চোখে পড়ার মতো। বছরের নানা সময়ে যশোরে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এ বছর যশোর পেয়েছে অনেক নতুন জনপ্রতিনিধি।

৩১ মার্চ যশোর পৌরসভায় অনুষ্ঠিত হয় মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচন। মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হায়দার গণী খান পলাশ। এর আগে অনেক বাঘা বাঘা নেতাকে পিছনে ফেলে নৌকা প্রতীক বাগিয়ে নেন জেলা আওয়ামী লীগের এই সহ সভাপতি। দলীয় রাজনীতিতে অনেকটা চমকের সৃষ্টি হয় তার দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নিয়ে।

অন্যদিকে, যারা কাউন্সিলর নির্বাচিত হন তাদের অনেকের অতীত কর্মকান্ড নিয়ে সৃষ্টি হয় নানা প্রশ্নের। ওয়ার্ড কাউন্সিলরের দায়িত্বে থাকা ছয়জন পরাজিত ও নতুনদের জয় জয়কার হয় এ নির্বাচনে। যা ছিল ওই সময়ের টক অব টাউন।

৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনে মণিরামপুর পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলর পদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এতে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজী মাহামুদুল হাসান।
১৪ ফেব্রæয়ারি চুতর্থ ধাপে বাঘারপাড়া ও চৌগাছা পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনেও দু’টিতে নৌকা বিজয়ী হয়ে বাঘারপাড়ায় কামরুজ্জামান বাচ্চু ও চৌগাছায় নূর উদ্দিন আল মামুন হিমেল মেয়রের আসনে অধিষ্টিত হন।
২৮ ফেব্রæয়ারি কেশবপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে মেয়র পদে বিজয়ী হন নৌকার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম মোড়ল।

২০ সেপ্টেম্বর নওয়াপাড়া পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে মেয়রের পদ দখল করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত সুশান্ত কুমার দাস শান্ত।

যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত হন।

বছরের শেষদিকে সারাদেশে শুরু হয় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। বিএনপি দলীয়ভাবে এ নির্বাচনে না আসলেও শান্তিপূর্ণ ও উৎসব মুখর পরিবেশে যশোরের ছয়টি উপজেলার ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। যা ছিল নজিরবিহীন। ২০১১ সালের পর গত এক দশকে অনেকেই ভোটের মাঠে না গেলেও গত বছর এসব নির্বাচনকে ঘিরে মুখরিত ছিল যশোরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লা।

১১ নভেম্বর চৌগাছার ১১ ইউনিয়নের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে পাঁচটিতে নৌকা ও ছয়টিতে স্বতন্ত্র এবং ঝিকরগাছার ১১ ইউনিয়নের মধ্যে আটটি নৌকা ও বাকিগুলোয় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হন। ২৮ নভেম্বর মণিরামপুর, বাঘারপাড়া ও শার্শা উপজেলার ৩৫ টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ করা হয়। এরমধ্যে শার্শার ১০টি ইউনিয়নে নৌকা ও স্বতন্ত্র সমানে সমান, বাঘারপাড়ার নয়টি ইউনিয়নের মধ্যে সাতটি নৌকা ও দু’টি স্বতন্ত্র এবং মণিরামপুর উপজেলার ১৬ ইউনিয়নের মধ্যে নয়টিতে নৌকা ও সাতটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হন।

২৬ ডিসেম্বর অভয়নগর উপজেলার আট ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এখানে চারটিতে নৌকা ও বাকি চারটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হন। এ কারণে বছর জুড়ে ভোট উৎসবে মুখরিত ছিল যশোরের গোটা জনপদ।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!