‘বিটিভি মানেই বাতাবি লেবুর বাম্পার ফলন’, দর্শক-সমালোচকদের এমন ধারণা ভুল প্রমাণ করতে চাইছে রাষ্ট্রীয় এই গণমাধ্যমটি।
সেই লক্ষ্যে সম্প্রতি বেশ কিছু উদ্যোগও নিয়েছেন বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) কর্তারা। তাদের অনুষ্ঠান কার্যক্রমে বড় পরিবর্তন আসছে। গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে নতুন নতুন অনুষ্ঠান সম্প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শিগগিরই প্রচার হতে যাচ্ছে একাধিক বিশেষ অনুষ্ঠান। তারই ধারাবাহিকতায় ২৭ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’। দেশের ৬৪টি জেলার ইতিহাস, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, সংস্কৃতি, মানুষের জীবন-জীবিকা, পোশাক-পরিচ্ছদ, খাবার, ভাষার ভিন্নতা সবকিছুই তুলে ধরা হবে এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
৫০ মিনিটের এ অনুষ্ঠানের প্রতিটি পর্বে ভিন্ন-ভিন্ন জেলা বেছে নেওয়া হয়েছে। শুটিংও সম্পন্ন হয়েছে সব জেলায় গিয়ে। যার মাধ্যমে দর্শকরা বিনোদন পাওয়ার পাশাপাশি দেশের প্রতিটি জেলার ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি সম্পর্কেও ধারণা পাবেন। আর অনুষ্ঠানটির বড় একটা অংশ জুড়ে থাকছে আঞ্চলিক গান।
জগদীশ এষের পরিকল্পনায় অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন শাহজামান মিয়া। আলিফ চৌধুরী ও নাহিদা আফরোজ সুমির উপস্থাপনায় এটি প্রচার হবে প্রতি মাসের শেষ শুক্রবার রাত ১০টা ২০ মিনিটে।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুষ্ঠান ও পরিকল্পনা পরিচালক জগদীশ এষ বলেন, ‘‘বিটিভি মানেই ‘বাতাবি লেবুর বাম্পার ফলন!’- দর্শকদের মন থেকে এই ধারণাটি আমরা পাল্টে দিতে চাই। তাই অনুষ্ঠানমালাকে আমরা সম্পূর্ণ ঢেলে সাজাচ্ছি। নতুন আঙ্গিকের বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান আমরা নির্মাণ করেছি। তার মধ্যে ‘বাংলাদেশের হৃদয় হতে’ মূলত একটি জেলাভিত্তিক বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ খুব ছোট্ট একটি দেশ হলেও এ দেশের বিভিন্ন জেলার সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, আচার, জীবনযাপন ধারা, এমনকি ভাষাগতও ভিন্নতা রয়েছে। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষ যেন দেশের সব জেলা সম্পর্কেই জানতে পারে, সে লক্ষ্যেই এর পরিকল্পনা। আশা করছি, ভিন্ন মাত্রার এ অনুষ্ঠানটি দর্শকদের ভালো লাগবে।’
খুলনা গেজেট/কেএম