প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদ ছিলেন বিচার অঙ্গনের উজ্জ্বল নক্ষত্র।
রোববার (২০ মার্চ) জাতীয় ঈদগা ময়দানে সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের জানাজার আগে বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমাদের স্বর্ণযুগের যে কয়জন বিচারপতিকে পেয়েছি, তার মধ্যে সাহাবুদ্দিন আহমদ অন্যতম। আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন বিচারপতি মোস্তফা কামাল, বিচারপতি এম এইচ রহমান ও বিচারপতি বদরুল হায়দার চৌধুরী। আজ আমরা বিদায় জানাচ্ছি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদকে। বিচার অঙ্গনে পদচারণাকারী সবার জন্য আজ শোকের দিন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, যারা বিচার অঙ্গনে চলাফেরা করেন তারা জানেন বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমদের অবদান সম্পর্কে। তিনি বেঁচে থাকবেন তার রায়ের মাধ্যমে। তার অষ্টম সংশোধনীসহ অনেকগুলো ঐতিহাসিক রায় রয়েছে। এখন থেকে ৫০-১০০ বছর পরও পুরো জাতি বিশেষ করে বিচার অঙ্গনের সবাই সারাজীবন তাকে মনে রাখবেন। বিচারপ্রার্থীরা তার রায়ের সুফল পাবেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতির নামাজে জানাজায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র আইনজীবীরাসহ হাজারো মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানাজা শেষে তার কফিনে রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
জানাজা শেষে তার মরদেহ বনানী কবরস্থানে দাফনের উদ্দেশে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাহাবুদ্দিন আহমদের প্রথম জানাজা শনিবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার পাইকুড়া ইউনিয়নের পেমই গ্রামের নিজ বাড়ির আঙিনায় অনুষ্ঠিত হয়।
ওইদিন বিকেল সোয়া ৩টার দিকে তার মরদেহবাহী হেলিকপ্টার কেন্দুয়া পৌর শহরের চকপাড়া এলাকার হেলিপ্যাডে অবতরণ করে। পরে সেখান থেকে মরদেহ পেমই গ্রামে আনা হয়। পরে জানাজা শেষে সাহাবুদ্দিন আহমদের মরদেহ নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন স্বজনরা।
শনিবার (১৯ মার্চ) সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যান সাহাবুদ্দিন আহমদ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯২ বছর।