বিস্ফোরণের ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, এ ঘটনায় এখন জাতীয় তদন্ত চলছে। সুতরাং যতক্ষণ না পর্যন্ত রহস্য উন্মেচন না হবে, ততক্ষণ সবাই বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত বলে তিনি মনে করি।বৈরুতে শক্তিশালী বিস্ফোরণে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবিতে বিক্ষোভ করে হাজার হাজার মানুষ। বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পার্লামেন্ট ভবনের দিকে এগুতে গেলে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের আটকিয়ে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড অতিক্রমের চেষ্টা করলে মারমুখী অবস্থান নেয় নিরাপত্তা বাহিনী। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় টিয়ারগ্যাস, রাবার বুলেট। এসময় ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায় চারপাশ।
বিক্ষোভে অংশ নিয়ে বিস্ফোরণে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের পদত্যাগ দাবি তুলেন তারা। সাধরাণ মানুষকে আন্দোলনে অংশ গ্রহণের আহ্বান জানান।
জনগণের সম্পদ ধ্বংস করা থেকে বিরত থাকার জন্য বিক্ষোভকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির সেনাবাহিনী। এক বিবৃতিতে বলা হয়, শোকার্ত দেশবাসীর সঙ্গে সেনাবাহিনী একাত্মতা প্রকাশ করছে। শান্তিপূর্ণ উপায়ে বিক্ষোভের আহ্বান জানিয়েছে জনগণের সম্পদ ধ্বংস থেকে বিরত থাকার জন্য আন্দোলনকারীদের সতর্ক করা হয়।
মঙ্গলবারের বিস্ফোরণে নিহতদের সংখ্যা বেড়ে ১৫৮ জনে দাঁড়িয়েছে। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ হাজার। ২১ জন এখনো নিখোঁজ বলে জানায় দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। নিখোঁজেন সন্ধানে উদ্ধার অভিযানে অব্যাহত রয়েছে। বিস্ফোরণে সিরিয়ার ৪৩ হন নাগরিক নিহত হয়েছে বলে সরকারি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে গণমাধ্যম। নিহতদের মধ্যে লেবাননে নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূতের স্ত্রীও রয়েছেন।
লেবাননের পার্লামেন্টকে মাফিয়া আখ্যা দিয়ে সংসদ সদস্য পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে ৫ এমপি। এরমধ্যে দু’জন স্বতন্ত্র। বাকি তিনজন কাতায়েব পার্টি থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি।
ঘটনা অনুসন্ধানে তদন্ত করছেন দেশটির শীর্ষ রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে কাস্টম প্রধান, বন্দরের ব্যবস্থাপকসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।