বিকেএসপিতে হাতে ঝড় তুলেছেন লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের সাব্বির রহমান ও সাকিব আল হাসান। তবে ১০ রানের জন্য শতক মিস করেছেন সাব্বির।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় রূপগঞ্জ। ব্যাটিং নিয়েই শুরুটা বেশ ভালো করেন দলের দুই ওপেনার ইরফান শুক্কুর ও রকিবুল হাসান। উদ্বোধনী জুটিতেই ৭১ রান তোলেন তাঁরা।
১৬তম ওভারের প্রথম বলে গাজী গ্রুপকে উইকেট এনে দেন মাহমুদুল। ৪৭ রান করা রকিবুলকে ফেরান তিনি। তাঁর কিছুক্ষণ পর আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার শুক্কুরকে সাজঘরে পাঠান রাকিবুল। দুই উইকেট পতনের পর জুটি বাঁধেন ফর্মে থাকা সাব্বির ও নাঈম।
নাঈম তো পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে ছিলেন। গাজী গ্রুপের অধিনায়ক আকবর বোলিংয়ে নিয়মিত পরিবর্তন আনলেও উইকেটে থিতু হয়ে যায় এই দুজনের জুটি। সাব্বির অর্ধশতক পূর্ণ করেন ৫৩ বলে।
১১৪ বলে শতরানের জুটি পূর্ণ করেন সাব্বির-নাঈম। তাঁদের সেই জুটি ভাঙেন রাকিবুল। ৬৮ বলে ৪২ রান করা নাঈমকে আউট করেন তিনি। ১৮৬ রানে তিন উইকেট পতনের পর পরই নামেন সাকিব। অবশ্য ক্রিজে এসে থিতু হতে সময় নেননি এই অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
ইনিংসের শুরু থেকেই বেশ মারমুখি ছিলেন তিনি। তাঁর ঝড়ো ইনিংসের শুরুটা হয় ৪০তম ওভারে। রাকিবুলের করা ওই ওভারে শেষ চার বলে দুটি ছয় ও দুটি চার হাঁকান সাকিব। খালেদের পরের ওভার থেকে নেন ছয় রান।
আল-আমিন জুনিয়রের ওভার থেকে তুলে নেন ১১ রান। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করা সাকিবের অর্ধশতক আসে মাত্র ২১ বলে। তবে তাঁর সেই ইনিংসটি বড় হয়নি। তাঁকে থামতে হয় ৪৬তম ওভারে। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে কাট করতে গিয়ে ডিপ এক্সট্রা কাভারে থাকা নিলয় ক্যাচ নেন সাকিবের।
ফলে সেখানেই থামতে হয় ২৬ বলে ৫৯ রানের ঝড়ো ইনিংসটি। তাঁর এই ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও তিনটি ছয়। সাকিব আউট হলেও টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় শতকের দিকে এগোতে থাকেন সাব্বির। তবে খুব কাছে গিয়েও তা আর করা হয়নি এই ব্যাটারের।
ব্যক্তিগত ৯০ রানে যখন ব্যাট করছিলেন তখন নিলয়ের বলে স্কুপ করতে গিয়ে কিপারের হাতে ধরা পড়েন সাব্বির। শেষ পর্যন্ত ২৩৯ রানেই থামে রূপগঞ্জের ইনিংস। গাজী গ্রুপের হয়ে দুটি করে উইকেট লাভ করেন খালেদ, রাকিবুল ও নিলয়।