চুয়াডাঙ্গার জীবননগর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফে)র গুলিতে নিহত বাংলাদেশি মিজানুর রহমানের(৫০) লাশ ছয় দিন পর হস্তান্তর করেছে ভারতের কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ।
গতকার বুধবার বিকেল ৫টায় উপজেলার বেনীপুর সীমান্ত দিয়ে জীবননগর থানা পুলিশের নিকট নিহতের লাশ হস্তান্তর করেন।
এ সময় বিজিবি, বিএসএফ, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধিসহ নিহতের স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।
নিহত মিজানুর রহমান ঝিনাইদহ জেলার শোলকূপার শেখ পাড়ার মো.নবিছদ্দীনের ছেলে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,গত শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর থানার নোনাগঞ্জ সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মিজানুর রহমানের মৃত্যু হয়। পরে বিএসএফ লাশ নিয়ে গিয়ে ময়নাতদন্ত শেষে মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) সহকারী পরিচালক মো.সাইফুল ইসলাম, বেনীপুর বিওপির কমান্ডার মোঃ আতিয়ার রহমান,জীবননগর থানার পরিদর্শক এসএম রায়হান, সৈকত পাড়ে, সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইশাবুল ইসলাম মিল্টন ও জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের উপস্থিতিতে মৃতদেহের মিজানুরের স্ত্রী নাসিমা খাতুন এর সনাক্তের পর বিএসএফ ও কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ লাশ বুঝাইয়া দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আইনগত ব্যবস্থা শেষে তার স্ত্রী নাসিমা খাতুন এর নিকট লাশ হস্তান্তরের পর মৃতদেহ দাফনের জন্য তার নিজ বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানাধীন শেখপাড়া গ্রামে এ্যাম্বুলেন্সে তার আত্নীয়স্বজন নিয়ে গেছেন।
উল্লেখ্য,গত বুধবার(১৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বেনীপুর গ্রামের মো.মধু এর ছেলে বাদল(৪০), মো.কাউছার এর ছেলে ফারুক(৩৫),মো. আরিফ এর ছেলে জীবন(৩৫) নামের তিনজন মিজানুর রহমানকে ভারতে ধুর (অবৈধ ভাবে মানুষ পারাপার) পার করার জন্য ডেকে নিয়ে যায়। তারা ফেরত আসলেও মিজানুর ফেরত না আসায় বাদলের নিকট তার ছোট স্ত্রী নাসিমা খাতুন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন ফারুক ও মিজানুর ওই পারে (ভারত) আটকা আছে বের হতে পারেনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অথবা রাতে তাকে বের করা হবে। শুক্রবার সকালে আবার যখন ফারুকের নিকট খোঁজ নিতে যায় তখন ফারুক মিজানুরের স্ত্রীকে ২হাজার টাকা দিয়ে বলে আজও আসতে পারিনি বিকালের মধ্যে ওকে তোর সামনে হাজির করবো। তখন ফারুকের স্ত্রীর মাধ্যমে ভারতে মোবাইলে যোগাযোগ করে জানে পারি সীমান্ত একজন মারা গিয়েছে। তবে কে মারা গিয়েছে জানতে পারিনি। পরে ভারতের মানুষের সাথে যোগাযোগ করে সে জানতে মিজান বিএসএফের গুলিতে মারা গিয়েছে। পরবর্তীতে মৃতের ছবি সংগ্রহ করে মিজানুরের স্ত্রী কে দেখালে তিনি ছবিটি তার স্বামী বলে সণাক্ত করেন।
খুলনা গেজেট/কেডি