লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আহত বাংলাদেশি যুবক লিটন মিয়া (১৭) চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিএসএফে হেফাজতে ভারতে মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাত ১১টায় ভারতের কুচবিহার জেলা সদরের এমজেএম নামে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
লালমনিরহাট ১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বুধবার (২৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) রাতে উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নম্বর মেইন পিলারের কাছে বিএসএফ এর গুলিতে আহত হয় লিটন। পরে বিএসএফ তাকে ধরে নিয়ে যায়। আহত লিটন মিয়া উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মো. মোকছেদুল ইসলামের ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তের ৯২৩ নং মেইন পিলার এলাকায় দিয়ে রাতে বাংলাদেশি কয়েকজন যুবক গরু আনার চেষ্টা করলে ভারতীয় জলপাইগুড়ি-৭৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বারথার ক্যাম্পের টহল সদস্যরা গুলি করে। এ সময় লিটন মিয়া গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে পড়ে যায়। পরে বিএসএফ সদস্যরা তাকে নিয়ে ওই এমজেএম হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট-১৫ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মোফাজ্জল হোসেন আকন্দ বলেন, বিএসএফ এর গুলিতে আহত বাংলাদেশির চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মৃত্যু হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।
খুুলনা গেজেট/ এএজে