বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মানহানি মামলা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বুধবার মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহাদী হাসান অভিযোগটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে সমন জারির নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী ও সমিতির সভাপতি কাজী ফরিদুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ফারুক হোসেন মণিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক। আসামি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব। তিনি দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সম্পর্কে অশালীন, বানোয়াট, মিথ্যা, কুরুচিপূর্ণ ও মানহানিকর বক্তব্য প্রদান করে আসছেন। তার মধ্যে এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘এখন আর তসবি পট্টি নাই। কপালে তিলক চন্দন দেয় আর বয়ফ্রেন্ড মোদির সঙ্গে ফষ্টি নষ্টি করাসহ বিভিন্ন বক্তব্য দেন’। আসামির এরূপ আক্রমণাত্বক বিদ্বেষ সৃষ্টিকারী বক্তব্যে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর সুনাম, সম্মান ও মানহানি হয়েছে। আসামির উক্ত বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ডিজিটাল বিন্যাসে প্রচার ও প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ সরকার ও রাষ্ট্রের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে। এ বক্তব্য প্রকাশ ও সম্প্রচার হওয়ায় দেশের মধ্যে অস্থিরতা ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটার উপক্রম হয়েছে।
গত ৭ ডিসেম্বর বেলা ১১টার দিকে মামলার বাদী ফারুক হোসেন দলীয় উপজেলা কার্যালয়ে বসে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযুক্তের মানহানিকর ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য শোনেন। আসামির এ বক্তব্যে মামলার বাদী ফারুক হোসেনের রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর মানহানি করায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে এ মামলা করেছেন।
মামলা দায়েরকালে বাদী পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি শরীফ নুর মোহাম্মদ আলী রেজা, সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহানুর আলম শাহীন, সিনিয়র আইনজীবী গাজী আব্দুল কাদির, সুব্রত ব্যার্নাজী, স্বপন ভদ্র, মোহাম্মদ আলী রায়হান প্রমুখ।