খুলনায় বিএনপির মহাসমাবেশ আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর আড়াইটার অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশের আগেই খুলনার ১৮ রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ দলটির নেতাদের।
খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, হঠাৎ করে নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশি হয়রানি ও গ্রেফতার করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে পুলিশ। সমাবেশের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে, কিন্তু সমাবেশ ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।
তিনি বলেন, পরিবহন মালিকদের ডেকে নিয়ে খুলনার ১৮ রুটের সকল গাড়ি চলাচল ২৪ ঘন্টা বন্ধ রাখার নিদেশ দিয়েছে পুলিশ। খুলনাবাসী সমাবেশে অংশগ্রহণের জন্য অধীর আগ্রহে রয়েছেন। যে কোন মূল্যে খুলনায় সমাবেশ করা হবে।
নজরুল ইসলাম মঞ্জু আরও জানান, খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে অন্তত ৩০ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই আটক করা হয়েছে। পুলিশের এই আচরণ মোটেই কাম্য নয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, পরিবহণ শ্রমিকদের সাথে বৈঠক করে সমাবেশের আগে খুলনা বিভাগে পরিবহন চলাচলে নিষেধ করা হচ্ছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে লঞ্চ, ট্রলার, ইজিবাইকসহ গণপরিবহন। এই নীতি পরিহার করে নেতাকর্মীদের নির্বিঘ্নে সমাবেশে আসতে দেওয়ার আহ্বান এবং আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি, পুলিশের আচরণ পরিহারের দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাম বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের ছয় সিটিতে মেয়র প্রার্থীদের নেতৃত্বে খুলনাতে ২৭ ফেব্রুয়ারি মহাসমাবেশের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি রয়েছে। এ মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করবেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ব্যারিষ্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম। বিশেষ অতিথি থাকবেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চোধুরী ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। এছাড়া প্রধান বক্তা ছয় সিটির মেয়র প্রার্থীরা।