বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রস্তাব দেননি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, কথার কথা হিসেবে এটি এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ সফর থেকে ফিরে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন মোমেন।
ড. মোমেন বলেন, নির্বাচন নিয়ে আলাপ হয়েছে। আমি বলেছি, নির্বাচনে আমরা সব দলকে চাই। সব দল মোটামুটি আসে। কিন্তু একটা বড় দল আছে তারা পাবলিকলি বলে, নির্বাচন করবে না। কেউ যদি ইচ্ছে করে করতে না চায়…। তারা জনগণকে ভয় পায়। কারণ তারা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আসেনি। আপনারা পারলে আনেন। আমরা তো সবাইকে আনতে চাই। তবে এটা কোনো প্রস্তাব আকারে দিইনি। কথার পরিপ্রেক্ষিতে বলেছি।
গত ৪ এপ্রিল ঢাকা-ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য ড. মোমেন যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছেন বলে খবর প্রকাশ করে দেশের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির জন্ম ক্যান্টনমেন্টে। তারা ওই ধরনের জিনিসই (অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া) আশা করে। এজন্য তাদের আমরা আনতে পারি না। উনি (ব্লিঙ্কেন) বললেন, কেন আনতে পারেন না? তখন আমি বললাম, আপনি তাদের নিয়ে আসেন। দেখেন আপনি পারেন কি না। বাকি সব দল আসে। তারা যদি না আসে, আমরা কী করব। উনি বললেন, না আসলে আপনারা তো কিছু করতে পারেন না।
ড. মোমেন বলেন, আমি বললাম, আমাদের দেশের গণতন্ত্র খুব ট্রান্সপারেন্ট। আমাদের দেশটা সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্রের জন্য। বাংলাদেশের প্রত্যেক লোক গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। এজন্য শতকরা ৭২ ভাগের নিচে কোথাও ভোট হয় না। ভোটের রেসপন্স বেশি। এটা উৎসব। আপনার দেশের মতো না, জোর করে লোক নিতে হয়, কেউ আসে না। আমাদের গণতন্ত্র অন্যদের শেখানো লাগবে না।
বর্তমান নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে ব্লিঙ্কেনকে জানিয়েছেন উল্লেখ করে মোমেন বলেন, আমি বলেছি, আপনার রাষ্ট্রদূত আমাদের নির্বাচন দেখেছে। কোথাও কারচুপি হয়নি। আমাদের স্বাধীন নির্বাচন কমিশন। আবার নতুন করে আমরা তৈরি করেছি। সবার গ্রহণযোগ্যতার মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ লোকদের নিয়ে করা হয়েছে।