বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জবাবে বলেছেন, বিএনপি পবিত্র রমজানে কতগুলো ইফতার পার্টি করেছে তা গণনার জন্য সরকার লোক নিয়োগ করেছে। বিএনপি রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখতে ইফতার মাহফিলে বিশ্বাস করে। আওয়ামী লীগের মত ককটেল পার্টিতে বিএনপি বিশ্বাসী নয়। উল্লেখ্য, গতকাল গণভবনে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিএনপি রমজান মাসে ১ হাজার ইফতার পার্টি করেছে।’
শুক্রবার দুপুরে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে এক তাৎক্ষণিক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ঈদ মানে আনন্দ-খুশি। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ আনন্দ উপভোগ করতে পারেনি। উন্নত মানের খাবার কেনার সঙ্গতি ছিলো না। অত্যন্ত কষ্টে দিন যাপন করছে দেশের মানুষ। আজকে আওয়ামী লীগ কোটি কোটি লুটপাট করেছে। তাদের নেতাকর্মীদের আনন্দের শেষ নেই। আজকে বিভিন্ন প্রজেক্টের নামে বড় দুর্নীতি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার কারণে গতকাল ঈদের দিনও সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত হয়েছে। লঞ্চে দড়ি ছিড়ে বিল্লালের পরিবারের তিনজনসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। হতাহত হয়ে মৃত্যু শোক যেন ঈদের খুশির আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। মানুষ আগুনে পুড়ে মারা যাক, পানিতে ডুবে মারা যাক, সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যাক এতে সেতুমন্ত্রীর কিছু যায় আসে না। ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনার মনে স্বস্তি থাকতে পারে, আপনার মন্ত্রীদের মনে স্বস্তি থাকতে পারে। কিন্তু সাধারণ মানুষের মনে কোনো স্বস্তি নেই।
রিজভী বলেন, ঢাকা শহর যেনো আগুনের নরকে পরিণত হয়েছে। কয়েক দিন আগে রাজধানীর বেইলী রোডে আগুন লেগেছে, শিল্প কারখানায় আগুন লেগে কয়েকজন মারা গেছে। ঈদের দিনও আগুনে দগ্ধ হয়ে অনেক মানুষ মারা গেছে। এইতো সরকারের পক্ষ থেকে ঈদের উপহার। সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে জনগণের এই দুরবস্থা। কারণ, তারা জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ নয়, জনগণের ভোটে নির্বাচিত নন। তাদের জবাবদিহিতা জনগণের কাছে নয়, তাদের জবাবদিহিতা একমাত্র শেখ হাসিনার কাছে।
তিনি বলেন, বিএনপির জনগণের স্বার্থের দিকে দৃষ্টি দেয়া একটি রাজনৈতিক দল। তাদের উপর এত নিপীড়ন ও নির্যাতন। এরপরও বিএনপি নিপীড়িত জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছি। যত নির্যাতন আসুক, যতই হুমকি আসুক গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি রাজপথে আছে এবং থাকবে।
খুলনা গেজেট/এএজে