খুলনা মহানগরের নতুন আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ প্রকাশ করার জেরে কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে শোকজ করেছে বিএনপি। দলীয় শীর্ষ নেতাদের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ ও শৃঙ্খলা ভঙের অভিযোগে সোমবার দলের পক্ষ থেকে তাকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি শফিকুল আলম মনাকে আহ্বায়ক, তরিকুল ইসলাম জহিরকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও শফিকুল আলম তুহিনকে সদস্য সচিব করে খুলনা মহানগর এবং আমির এজাজকে আহ্বায়ক, আবু হোসেন বাবুকে যুগ্ম আহ্বায়ক ও মনিরুল হাসান বাপ্পিকে সদস্য সচিব করে খুলনা জেলা বিএনপির আংশিক আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এই কমিটি হওয়ার মধ্য দিয়ে সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি বাদ পড়েন। নতুন কমিটিতে তাদের কোনো অনুসারীদেরও রাখা হয়নি। এ ঘটনায় সেখানে নেতাকর্মীদের একটি অংশের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।
রবিবার ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নজরুল ইসলাম মঞ্জু কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিতর্কিত ও সুবিধাবাদী নেতৃত্ব রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিরোধী। নয়া নেতৃত্ব সম্পর্কে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে একটি অংশ। যা খুলনার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শনে বিশ্বাসীরা প্রত্যাখ্যান করেছে। এই কমিটির প্রতি খুলনা বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কোনো সমর্থন নেই, আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই।’
কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম মঞ্জু গণমাধ্যমে বলেন, ‘আমি এখনো চিঠি পাইনি, তবে এ ধরনের চিঠি আমাকে দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। আমি চিঠির জবাব দেব। আমি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি করেছি, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দল করি, আমি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বেও দল করছি এবং আগামীতেও করব।’
খুলনা সদরের সাবেক এই সাংসদ বলেন, ‘আমি তো দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করিনি, আক্রমণাত্মক কোনো কথা বলেনি। আমি সদ্য ঘোষিত কমিটি প্রত্যাখ্যানও করিনি, আমি শুধু কমিটি পুনঃমূল্যায়ন করতে বলেছি। ঘোষিত কমিটি খুলনার জাতীয়তাবাদী শক্তির বৃহত্তর অংশের মানুষের মনের প্রত্যাশা পূরণ করেনি। আমি আশা করব, দল বাস্তবতার নিরিখে ব্যবস্থা নেবে।’
খুলনা গেজেট/এনএম