খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রের কারণে গণতন্ত্র আজ হুমকির সম্মুখিন। তারা সরকার এবং দেশকে অশান্ত করতে নানা ধরণের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। তাদের এই চক্রান্তকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে বিএনপিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছেন। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই গণতান্ত্রিক আচরণকে দূর্বলতা মনে করে পল্টনে সমাবেশ করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা এতো দুর্বল নয় যে বিএনপি’র এই চ্যালেঞ্জে ভয় পেয়ে যাবে। দলের সকল নেতাকর্মীকে সাথে নিয়ে খুলনা থেকে শেখ হাসিনার এই গণতন্ত্রের যাত্রাকে আরও বেগবান করবে ইনশাল্লাহ।
বুধবার বিকাল ৩টায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানার পরিচালনায় এসময়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ শহিদুল ইসলাম, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, মো. আশরাফুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যা. আলমগীর কবির, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলাম মুন্না, কামরুল ইসলাম বাবলু, বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, নুর মোহাম্মদ শেখ, শেখ মোশাররফ হোসেন, মাহবুবুল আলম বাবলু মোলা, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ, কাউন্সিলর আনিছুর রহমান বিশ্বাষ, কাউন্সিলর শেখ গাউসুল আজম, কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আব্দুল ওয়াদুদ, এস এম আকিল উদ্দিন, কাউন্সিলর এস এম মোজাফফর রশিদী রেজা, কাউন্সিলর ইমাম হোসেন চৌধুরী ময়না, কাউন্সিলর আমেনা হালিম বেবী, কাউন্সিলর আরিফ হোসেন মিঠু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোতালেব মিয়া, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, রনজিত কুমার ঘোষ, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, শেখ আবিদ উল্লাহ, মো. নুর ইসলাম, শেখ জাহিদ হোসেন, মো. জাহিদুল হক, চ. ম মজিবুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, শেখ আব্দুল আজিজ, জামিরুল হুদা জহর, মঈনুল ইসলাম নাসির, ফেরদৌস হোসেন লাবু, বাবুল সরদার বাদল, আব্দুল হাই পলাশ, এ্যাড. মো. ফারুক হোসেন, কাজী এনায়েত আলী আলো, মো. সফিউল্লাহ, শেখ মো. রুহুল আমিন, সরদার আব্দুল হালিম, মীর মো. লিটন, মো. মোতালেব মিয়া, মো. জাকির হোসেন, মো. ইউসুফ আলী খান, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মো. আজম খান, মো. শিহাব উদ্দিন, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, শেখ এশারুল হক, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. ফয়েজুল ইসলাম টিটো, ওহিদুল ইসলাম পলাশ, মুন্সি মো. সেলিম হোসেন, শেখ আসলাম আলী প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
বর্ধিত সভায় মাসব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় গণমিছিল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গণমিছিলে ২২, ২৯, ৩০ ও ৩১নং ওয়ার্ড রূপসা ট্রাফিক মোড়ে, ২৮নং ওয়ার্ড পিটিআই মোড়ে, ২৭নং ওয়ার্ড সাত রাস্তা মোড়ে, ২৪নং ওয়ার্ড লায়ন্স চক্ষু হাসপাতাল মোড়ে, ২১নং ময়লাপোতা ষাটগম্বুজের সামনে, ২৫ ও ২৬নং ওয়ার্ড ময়লাপোতা রাঁধুনীর সামনে, ২০নং ওয়ার্ড হোটেল কদরের সামনে, ১৯নং ওয়ার্ড খলিল চেম্বার, ১৮নং ওয়ার্ড ফুজি কালার, ১৬ ও ১৭নং ওয়ার্ড শীববাড়ী মোড় এলাকায় মিছিল সহকারে উপস্থিত থাকবে। সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মিছিল সাথে অংশগ্রহন করবে। মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে যথাসময়ে রুপসা ট্রাফিক মোড়ে উপস্থিত হওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
অনুরুপভাবে খালিশপুর, দৌলতপুর ও খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগ নিজ নিজ এলাকায় গণমিছিল করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এছাড়া ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাদ মাগরিব স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২:০১ মিনিটে গল্লামারী বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, ১৪ ডিসেম্বর বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল, ১৬ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৬টায় গল্লামারী শহীদ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, সকাল সাড়ে ৮টায় দলীয় কার্যালয় হতে বিজয় র্যালী, বিজয় র্যালী শেষে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে অংশগ্রহণের লক্ষে ২৪ ডিসেম্বর সকালে ঢাকায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।