বিএনপি-জামায়াত এবং সমমনা দলগুলোর ডাকা পঞ্চম দফার ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হয়েছে। বুধবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে ৪৮ ঘণ্টার এ অবরোধ চলবে শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল ৬টা পর্যন্ত। তবে, ভোর থেকেই খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন সড়কগুলোতে যানচলাচল করতে দেখা গেছে।
অবরোধের আগের রাতে রাজধানীর মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় শুকতারা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ নিয়ে মোট ৪টি বাসে আগুন দেওয়া হলো।
মঙ্গলবার রাত ১১টা ৩ মিনিটে মিরপুর বেড়িবাঁধের দ্বীপনগর এলাকায় শুকতারা পরিবহনের ওই বাসটিতে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে রাত সোয়া ১১টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ২ ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
এর আগে, সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ অবরোধের ঘোষণা দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান।
রিজভী বলেন, কারাবন্দি বিএনপি নেতাদের মুক্তি, সমাবেশে হামলা, নেতাদের হত্যার প্রতিবাদ, সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও সংসদ ভেঙে দেওয়ার দাবিতে এই ৪৮ ঘণ্টা অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে। বিএনপির পাশাপাশি সমমনা দলগুলোও এই কর্মসূচি পালন করবে।
একই দিন জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশও অবরোধের ডাক দেয়। এক বিবৃতিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বলেন, সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, আমির জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সব রাজবন্দি এবং ওলামা-মাশায়েখের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে আমি জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আগামী ১৫ নভেম্বর ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়ে ১৭ নভেম্বর ভোর ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে টানা ৪৮ ঘণ্টা শান্তিপূর্ণ সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলা, হত্যা, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে ২৯ অক্টোবর হরতাল এবং ৩১ অক্টোবর, ১ ও ২ নভেম্বর মোট তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের শরিকরা। তারপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় এবং ৮ ও ৯ নভেম্বর তৃতীয় দফায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করে তারা। গত দুই দিন ১১ ও ১২ নভেম্বর চতুর্থ দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ পালন করা হয়। এরপর গতকাল (মঙ্গলবার) একদিনের বিরতি দিয়ে বুধবার সকাল ৬টা থেকে পঞ্চম দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডাকা হয়।