রাজধানীর নয়াপল্টনে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ। হঠাৎ করেই রাজধানীতে কয়েকটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কার্যালয়ের সামনে ও ভেতর থেকে অন্তত ১০ নেতাকর্মীকে আটক করেছে তারা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে তাদের আটক করা হয়েছে।
বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের একটি সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। সূত্রটি বলছে, ১০ জনেরও বেশি বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিঝিল জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ‘বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কেউ অপরাধী না হলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’
আজ দুপুরের দিকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অন্তত ছয়টি বাসে আগুন দেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এতে এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণকক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল আহমেদ বলেন, ‘আজ দুপুরে রাজধানীর কাঁটাবন, গোলাপশাহ মাজার, বংশালের নয়াবাজার, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের সামনে, মতিঝিলের মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে এবং নয়াপল্টনের আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারের সামনেসহ মোট ছয়টি বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।’
বেলা ৩টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’
এসব অগ্নিসংযোগে কোনো হতাহতের তথ্য নেই জানিয়ে রাসেল আহমেদ আরো বলেন, কারা অগ্নিসংযোগ করেছে বা কীভাবে আগুন লেগেছে, তা জানা যায়নি।
এদিকে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মামুন অর রশিদ বলেন, ‘দুপুর ১টা ৩৬ মিনিটে দেওয়ান পরিবহনের একটি বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।’
পল্টন থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘নয়াপল্টনের বিএনপি কার্যালয়ের কাছাকাছি আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কর অঞ্চল-১৫-এর একটি যাত্রীবাহী মিনিবাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে কেউ হতাহত হয়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।’
মতিঝিল থানার ওসি মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত খান বলেন, ‘মধুমিতা সিনেমা হলের সামনে একটি বাসে আগুন লেগেছে। সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে।’
খুলনা গেজেট/কেএম