বগুড়ায় ঢাকাগামী যাত্রীবাহী বাসের চাপায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকসহ ৫ জন নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের সুজাবত এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বগুড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, উপজেলার বনানী বাইপাসে ঢাকাগামী একটি বাস সিএনজিচালিত আটোরিকশাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই ৩ জন মারা যান। এতে চালকসহ আরও ৩ জন আহত হন। তাদের নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চালকসহ ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনের নাম পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন বগুড়ার গাবতলী উপজেলার নশিপুর কদমতলী গ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক হযরত আলী (৩৫), ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ি গ্রামের কাপড় ব্যবসায়ী গোলাম রব্বানী বাদশা (৬০) এবং অটোরিকশার যাত্রী গাবতলী উপজেলার কোলাকোপা গ্রামের শাহানা বেগম (৩৫)। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক ও ৮ বছরের শিশুর নাম–পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
হযরত আলীর ফুফু মর্জিনা বেওয়া বলেন, রাস্তা থেকেই লাশ গ্রামের বাড়ি কদমতলী নিয়ে যাওয়ার হয়েছে।
বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আট বছর বয়সী একজন কন্যা শিশু গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়। পরে শিশুটিও মারা যায় বলে জানিয়েছেন শাজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আলী।
প্রত্যক্ষদশীরা জানান, বগুড়া শহর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা (বগুড়া-থ-১১-২২৩৫) চারজন যাত্রী নিয়ে গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী যাচ্ছিল। দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কে সুজাবাদ এলাকায় মহাসড়ক থেকে বাগবাড়ি সড়কে অটোরিকশাটি পার হচ্ছিল। এমন সময় গাইবান্ধা থেকে ঢাকাগামী স্বদেশ পরিবহনের একটি বাসের (গাইবান্ধা-ব-১১-০০১৪) সাথে অটোরিকশার সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন নারীসহ তিনজন মারা যান। স্থানীয় লোকজন আহত দুইজনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে অটোরিকশা চালক হযরত আলী মারা যান। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে বাসটিতে আগুন ধরে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তা নিভিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এমএম