খুলনা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.ডি.এ. বাবুল রানার দৃষ্টি খুলনা জেলা পরিষদের দিকে। তিনি এখানকার চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী। দলের মনোনয়ন বোর্ড ও ভোটারদের কাছে তিনি পৌঁছে গেছেন। আগামী মাসের শেষ দিকে অথবা অক্টোবরের প্রথমার্ধে জেলা পরিষদের এই নির্বাচন।
জেলা পরিষদের এখনকার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শেখ হারুনুর রশীদকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ১৮০ দিনের সেই মেয়াদ আগামী মাসেই শেষ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শাসক দলের মধ্যে প্রার্থী নিয়ে গুঞ্জন রয়েছে। এক্ষেত্রে শক্ত প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে তাঁর বাসভবনে এক আলাপচারিতায় তিনি প্রার্থী হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। বলেছেন, দলের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে প্রার্থী হওয়ার জন্য আবেদন জানাবেন। জনগনকে সরাসরি সেবা দেওয়ার জন্যই প্রার্থী হওয়ার মূল উদ্দেশ্য। বলেছেন, ৭৭ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। দল ক্ষমতায় আসার পর সবুরুননেসা মহিলা ডিগ্রি মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি, হাজী মালেক ইসলামীয়া কলেজের সভাপতি, খুলনা আলিয়া কামিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি বলে উল্লেখ করেন। এক পর্যায়ে শিশু ফাউন্ডেশনের মহাসচিব ছিলেন।
দলের অপর এক সূত্র জানায়, এসব প্রতিষ্ঠানের গতিশীলতা আনতে নতুন নেতৃত্ব প্রয়োজন। তবে চেয়ারম্যান পদে আরও ২ জন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন খুলনা চেম্বারের সভাপতি কাজী আমিনুল হক ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সরফুদদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু।
রাজপথের বিরোধী দল বিএনপি বৃহস্পতিবার ঢাকার সমাবেশে স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে, দলীয় সরকারের অধীনে কোনো স্তরের নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। এ ঘোষণার মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়েছে খুলনায় বিএনপি নির্বাচনে প্রার্থী দেবে না। ফলে শাসক দলের ওপর নির্ভর করছে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, না বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।
খুলনা গেজেট / আ হ আ