২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়েই নিজেদের আগমনী ঘোষণা দিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাদের অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না। হেরেছে কানাডার বিপক্ষেও। তবে শেষ ম্যাচে পাকিস্তানক পেয়েই জায়ান্ট কিলার সত্তাটা জেগে উঠেছিল আইরিশদের। ব্যাটারদের এনে দেয়া স্বল্প রানের লক্ষ্যটাকেই আয়ারল্যান্ডের বোলাররা পাকিস্তানের জন্য পাহাড়সমান করে তোলেন। শেষ পর্যন্ত বাবর আজমের দৃঢ়তা ও শাহিনের ঝড়ে জয় পায় পাকিস্তান।
রোববার (১৬ জুন) লডারহিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন উইকেটের জয় পেয়েছে পাকিস্তান। আয়ারল্যান্ডের দেয়া ১০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়া পাকিস্তানকে বলতে গেলে একাই লড়াই করে জয় এনে দিয়েছেন অধিনায়ক বাবর আজম। সুপার এইটে উঠতে ব্যর্থ পাকিস্তান জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শেষ করল।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা আইরিশরা শাহিন আফ্রিদি, ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ আমিরের তোপে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১০৬ রান তুলতে সমর্থ হয়। জবাব দিতে নেমে ৬২ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের শঙ্কায় পেয়েছিল পাকিস্তানকে। কিন্তু ওয়ান ডাউনে নামা বাবার আজম বুক চিতিয়ে লড়ে ম্যাচ বের করে আনেন। শেষে নেমে শাহিন আফ্রিদি দুটি ছক্কা মেরে পাকিস্তানকে জয় এনে দেন।
তবে স্বল্প রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তানের শুরুটা আশাব্যাঞ্জক ছিল। ২৩ রানের জুটি গড়েন সাইম আইয়ুব ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে আডায়ার আইয়ুবকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন। আউট হওয়ার আগে ১৭ বলে ১৭ রান করেন তিনি।
পরের ওভারের পঞ্চম বলে বিদায় নেন রিজওয়ানও। ম্যাকার্থির বলে আউট হওয়ার আগে ১৬ বলে ১৭ রান করেন রিজওয়ান।
দলীয় ৫২ রানে ফখর জামান ক্যামফারের শিকারে পরিণত হন। পরের ওভারে বল করতে এসে এক বলের ব্যবধানে উসমান খান ও শাদাব খানকে বিদায় করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন ম্যাকার্থি। উসমান ২ রান করলেও রানের খাতাই খুলতে পারেননি শাদাব।
পাকিস্তানের রানের খাতায় আর পাঁচ রান যোগ হতেই পরের ওভারে সাজঘরে ফেরেন ইমাদ ওয়াসিম। ক্যামফারের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৪ রান করেন এই অলরাউন্ডার।
হারের শঙ্কায় থাকা পাকিস্তানকে টানতে থাকেন অধিনায়ক বারব। তার সঙ্গী হন আব্বাস আফ্রিদি। এই জুটি ৩৩ রান যোগ করে জয়ের পথে নিয়ে আসেন পাকিস্তানকে। কিন্তু ২১ বলে ১৭ রান করা আব্বাসকে শিকার করে ম্যাচ ফের জমিয়ে তোলেন হোয়াইট।
তবে ডেলানিকে লং অনে ছক্কা মেরে শাহিন আফ্রিদির ম্যাচ পাকিস্তানের নাগালে নিয়ে আসেন। তবে পরের বলেই ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান তিনি। স্লিপে তার ক্যাচ ফেলেন স্টার্লিং। সেই ওভারেই আরেকটি ছক্কা মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন শাহিন। বাবর আজম ৩৪ বলে ২ চারে ৩২ রানে অপরাজিত থাকেন। শাহিন ৫ বলে ২ ছয়ে ১৩ রান করেন।
খুলনা গেজেট/এমএম