ভোটের এক মাস আগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনী হাওয়া যেমন গরম থাকার আভাস ছিল, ততটা নেই। বরং কয়েকদিন ধরেই কেমন যেন ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। তফসিল ঘোষণার ঠিক আগের দিন ফুটবল অঙ্গনের খবর, গত আড়াই বছর ধরে নির্বাচনী ময়দান চষে বেড়ানো তরফদার মো. রুহুল আমিন থাকছেন না ভোটের লড়াইয়ে।
একবার ঘোষণা দিয়েছিলেন সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন না। তিনি কথাটি জানিয়েছিলেন তার প্রধান প্রতিপক্ষ বর্তমান সভাপতি কাজী মো. সালাউদ্দিনকে ফোন করেই। পরে আবার তরফদার মো. রুহুল আমিন ঘোষণা দিয়েছিলেন, কোনো পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউকে জিততে দেয়া হবে না। তারা সব পদে প্রার্থী দেবেন। তখন থেকে প্রচার হতে থাকে, মত পরিবর্তন করে সভাপতি পদেই দাঁড়াতে পারেন তিনি।
তবে কয়েকদিন ধরে ভোটের বাজারের ঠান্ডা বাতাসই আভাস দিচ্ছিল নতুন কোনো খবর আসতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে তরফদার মো. রুহুল আমিন ও তার সমমনাদের একটি সভা হওয়ার কথা থাকলেও হয়নি। বুধবার থেকে ফুটবল অঙ্গনের খবর, তরফদার রুহুল আমিন কোনো পদেই প্রার্থী হবেন না। সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তরফদার মো. রুহুল আমিনকে ফোন করলে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি ফুটবলের সকল কার্যক্রম থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ভোটে দাঁড়াচ্ছেন না, কোনো কার্যক্রমেও থাকছেন না। হঠাৎ এ সিদ্ধান্ত কেন? তরফদার রুহুল আমিনের জবাব, ‘আপাতত আমি নির্বাচনসহ ফুটবলের কোনো কার্যক্রমে থাকছি না। এসব করতে গিয়ে আমি ব্যবসা-বাণিজ্যে সময় দিতে পারিনি। অনেক সমস্যা হয়েছে। তাই এ সিদ্ধান্ত। আমি এখন থেকে ব্যবসায় মনোনিবেশ করব।’
আপনি তো দুটি ক্লাবের সঙ্গে সম্পৃক্ত, একটি নিজে প্রতিষ্ঠা করেছেন। ক্লাবগুলো নিয়ে কি ভেবেছেন? ‘আসলে আপাতত আমি বাফুফের নির্বাচন ও ফুটবলের অন্যান্য সকল কার্যক্রম থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছি। ক্লাবের বিষয়টা পরে দেখা যাবে’-বলেন তরফদার রুহুর আমিন।
আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৪টায় নির্বাচন কমিশন বাফুফে ভোটের তফসিল ঘোষণা করবে।
খুলনা গেজেট/এএমআর