হোটেল সোনারগাঁওয়ে ঢুকতেই সুসজ্জিত বিলবোর্ড। জ্বলজ্বল করছে বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনসহ অন্যদের ছবি। কোনও ছবিতে আছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আবার কোনটিতে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো। আর এই সবকিছুই বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন ও কংগ্রেস ঘিরে। তাই হোটেল ভেন্যুর ভেতর-বাইরে বেজায় ভিড়। প্রার্থী ও ভোটার থেকে শুরু করে শুভাকাঙ্ক্ষীদের আগমন চোখে পড়ার মতো। এককথায় বাফুফে নির্বাচনে উৎসবের আমেজ। এমন উৎসবের আমেজে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। দুপুর দুইটায় হোটেল রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাওয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ চলবে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত।
মহামারি করোনাভাইরাসের কথা বিবেচনা করে দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আটটি বুথে চলবে ভোট গ্রহণ। ভোটারদের জন্য থাকবে চারটি ব্যালট পেপার।নির্দেশনা মেনে ভোট দিতে হবে কাউন্সিলরদের জানালেন মেজবাহ উদ্দীন, ‘কোভিড সংক্রান্ত বেশ কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। লাইন ধরার সময় আলাদা চিহ্ন থাকবে। থাকবে হাত ধোঁয়ার ব্যবস্থাও। এই হচ্ছে আয়োজন।’
নির্বাচনে পরিষ্কারভাবে দুটি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। একটি হলো, বর্তমান সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত পরিষদ। অন্যটি শেখ মোহাম্মদ আসলামের নেতৃতে সমন্বয় পরিষদ। এছাড়া আছে একাধিক স্বতন্ত্র প্রার্থী। সেখানে নির্বাহী পরিষদের ২১টি পদে দাঁড়িয়েছেন ৪৭ প্রার্থী। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত হবে ভোট গ্রহণ, এরপর গণনা।
প্রতিটি পদেই লড়াই হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে। সভাপতি পদে তিন জন, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে দুইজন, সহ-সভাপতি পদে আটজন ও সদস্য পদে ৩৬ জন অংশ নিচ্ছেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে জাতীয় দলের সাবেক কোচ ও বুয়েটের প্রতিনিধি মারুফুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘বুঝছি না কী হবে। আসলে ভোটাররা কাকে রায় দেয় পরিষ্কার নয়। কেননা কী হয় বলা কঠিন। দেখি শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায়।’
এদিকে ভোটকেন্দ্রকে কেন্দ্র করে একটা নির্বাচনী হাওয়া বইছে। নিরাপত্তা জোরদার করে সকল প্রস্তুতি সেড়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটকেন্দ্রে মোবাইল নেয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে নেয়া যাবে না মোবাইল ফোন। মেজবাহ বলেন, ‘আপনাদের মাধ্যমে সবাইকে জানাতে চাই। ভোটিং কংগ্রেস হলের ভেতর কর্তৃপক্ষ ছাড়া কারও কাছে কোনও মোবাইল ফোন থাকবে না।’
খুলনা গেজেট/এএমআর