কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি স্বাধীনতার পক্ষের লোকজনকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে বলেন, আর যেন কোন অপশক্তি, স্বাধীনতা বিরোধী ক্ষমতা দখল করতে না পারে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়তে চেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন এটা হবে আমাদের আগামী দিনের অঙ্গিকার। তাঁর আদর্শকে ধারণ করে আমরা ভোগের নয়, ত্যাগের রাজনীতি করবো।
তিনি আজ মঙ্গলবার বিকেলে গোপালগঞ্জ পৌরসভার ১২ টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ২টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে বক্তৃতাদান কালে এ কথা বলেন।
শেখ সেলিম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই মার্চ মাসে জন্ম গ্রহন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আজও আমরা পাকিস্তানের গোলাম হয়ে থাকতাম। আল্লাহতায়ালা ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুকে বাঙালী জাতির মুক্তির জন্য পাঠিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সাহস পায়নি। এই বাংলার কিছু মীর জাফর ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে। তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্যদিয়ে এ দেশকে পাকিস্তানী ধ্যানধারনায় একটি তাবেদারী রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিলো। কিন্তু আহম্মকেরা জানতো না বঙ্গবন্ধুকে তারা হত্যা করতে পারলেও তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। কারণ বঙ্গবন্ধু ছিলেন মানবতাবাদী নেতা, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের নেতা। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আজ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
গোপালগঞ্জ পৌরসভার মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকুর সভাপতিত্ব অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার আয়েশা সিদ্দিকা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ লুৎফর রহমান বাচ্চু বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী ও বিভিণ্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে, প্রধান অতিথি শেখ ফজলুল করিম সেলিম, এমপি পৌর কমিউনিটি সেন্টার ও পৌর জামে মসজিদ, পৌর পাবলিক হল শপিং কমপ্লেক্স, পৌর নিউ মার্কেট, শেখ সেলিম মিলনায়তন, পৌরসভার সম্প্রসারিত ভবন, হরিদাসপুর দৃষ্টিনন্দন ব্রীজ, চাপাইল দৃষ্টিনন্দন ব্রীজ, শেখ সেলিম সড়ক, রুরাল পাইপ ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম, পৌরসভার ৩০০ ঘঃমিঃ/ঘন্টা ক্ষমতা সম্পন্ন সারফেজ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, সদর উপজেলা পরিষদ সম্প্রসারিত প্রশাসনিক ভবন ও হল রুম ও পৌর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ উদ্বোধন করেন।এছাড়া পৌর বড় বাজার, পৌর স্যানিটারী ল্যান্ডফিল এর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/ টি আই