সুন্দরবন থেকে বাঘের আক্রমণের শিকার হওয়া একটি মায়া হরিণ (বার্গিন ডিয়ার) লোকালয় থেকে উদ্ধার করছে বন বিভাগ। সোমবার সকালে বন সংলগ্ন ঘাগড়ামারী লোকালয় থেকে বন বিভাগ, ভিটিআরটি ও স্থানীয় জনগণের সহযোগিতায় আহত হরিণটিকে উদ্ধার করা হয়। বনরক্ষীরা নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আবার বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।
আহত হরিণটি ঢাংমারীর ঘাগড়ামারী এলাকায় এক বাড়ির পাশের বাগানে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। এসময় স্থানীয়রা একটি গাছের পাশে হরিণটি দেখে বনবিভাগ এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও উদ্ধার কাজে সহায়তাকারী ওয়াইল্ডটিমের সদস্যদের খবর দেয়া হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেখান থেকে হরিণটিকে উদ্ধার করে করমজল বন্যপ্রানী প্রজনন কেন্দ্র ফরেষ্ট অফিসে নিয়ে আসে ষ্টেশন কর্মকর্তাসহ বনরক্ষীরা।
ফরেষ্ট অফিসেই আহত হরিণটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলেন পুর্ব সুন্দরবনের ঢাংমারী ও করমজল বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ কয়েকজন বনরক্ষী। দুপুর ১২টার দিকে হরিণটিকে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের বনে অবমুক্ত করা হয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকটি হরিণ বাঘের আক্রমণ থেকে ছুটে এসে লোকালয়ে আশ্রয় নিলে সেগুলোকেও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বনে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে জানায় করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের প্রাণী বিশেষজ্ঞ হাওলাদার আজাদ কবির।
তিনি আরো বলেন, সকালে খবর পেয়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ টিমের সদস্যদের নিয়ে বন সংলগ্ন ঘাগড়ামারী এলাকার একটি গাছের নিচ থেকে আহত অবস্থায় একটি পুর্ণ বয়স্ক হরিণ উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ৫/৬ দিন পূর্বে হরিণটিকে বাঘে আক্রমণ করেছিল। গায়ে বাঘের নখ ও দাতের আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে। আঘাতের জায়গায় রক্তক্ষরণ হয়ে কিছুটা পোকায়ও আক্রমণ করেছে। উদ্ধারের পর দ্রুত হরিণটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কিছু সময় তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। চিকিৎসা শেষে সুস্থ করে পুনরায় করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের পাশে বনের গহিনে হরিণটিকে অবমুক্ত করা হয়েছে।
হরিণটিকে উদ্ধার ও অবমুক্ত কাজে বন বিভাগের সহযোগীতায় করমজল বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ হাওলাদার আজাদ কবীর, ঢাংমারী স্টেশন কর্মকর্তা জনাব সামানুল কাদির এবং করমজল, ঢাংমারী ও ঘাগড়ামারীর বনকর্মী, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের সদস্যরা এবং স্থানীয়রা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এনএম