হবিগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা নাজমুল ইসলাম কাজলকে গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এদিকে জানাজায় এসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন এক আ’লীগ কর্মী।
মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ২টায় নাজমুল ইসলাম কাজলের মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি বাঘারপাড়া উপজেলার জামদিয়া ইউনিয়নের আমুড়িয়ায় পৌঁছালে হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। এসময় স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। তার প্রথম নামাজে জানাজা বিকেল সাড়ে ৩ টায় বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদ চত্বর ও দ্বিতীয় জানাজা বাদ আছর নিজ ইউনিয়ন জামদিয়ার ভাঙ্গুড়া কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রনজিৎ রায়সহ জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। একই ঘটনায় নিহত নাজমুল ইসলাম কাজলের ফুফাতো ভাই রাসেল আহমেদের (৩০) জানাজা শেষে জামদিয়ার করিমপুরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে, নাজমুল ইসলাম কাজলের জানাজায় এসে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আ’লীগ কর্মী শরিফুল ইসলাম (৫৫)। তিনি একই উপজেলার ধলগ্রামের মৃত জলিল মোল্যার ছেলে।
বাঘারপাড়ার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্যা জানান, শরিফুল জানাজায় কাতারে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ মাটিতে পড়ে যান। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
বাঘারপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক মোস্তাক আহমেদ জানান, ৩ টা ৩৫ মিনিটে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। এর আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। তিনি স্ট্রোকজনিত কারনে মৃত্যুবরণ করেছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ট্রাক ও জিপের মুখোমুখী সংর্ঘষে এক নারীসহ চারজন নিহত হন। এরা হলেন, নাজমুল ইসলাম কাজল ও তার ফুফাতো ভাই রাসেল (৩০), ঢাকার তালতলা এলাকার সুমন মিয়ার মেয়ে আঁখি আক্তার (২০) ও অজ্ঞাত একজন। এছাড়া, জিপের আরেক যাত্রী ঢাকার তালতলা এলাকার মাগফিরাত মিমের (২৫) অবস্থা আশঙ্কাজনক।
খুলনা গেজেট/এনএম