যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন নিয়ে নৌকা ও আনারস প্রতিকের দুই প্রার্থী পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে আনারস প্রতিকের প্রার্থী দিলু পাটোয়ারি ও সন্ধ্যায় নৌকার প্রতিকের প্রার্থী ভিক্টোরিয়া পারভীন সাথী প্রেসক্লাব যশোরে এ সংবাদ সম্মেলনে করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে স্বতন্ত্রপ্রার্থী দিলু পাটোয়ারি বলেন, বাঘারপাড়ায় নির্বাচনের প্রচারণা করতে দিচ্ছে না নৌকা প্রতিকের নেতাকর্মীরা। তারা বাধা দিচ্ছে। গত ১৮ নভেম্বর নৌকার প্রার্থী সাথীর দেবর টুটুলের নেতৃত্বে সশস্ত্র ক্যাডারা আমাকে অপহরণের চেষ্টা করেছিল। আমাকে রক্ষা করতে গিয়ে হামলায় অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। বুধবার রাতে বন্দবিলা ইউনিয়নে আনারসের প্রচার মাইকে হামলা, ভাংচুর ও বোমা ফাটিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে নৌকার নেতাকর্মীরা। এরপর আমার নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে হয়রাণি করছে। কতিপয় পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তা তার এইসব কাজে সহযোগিতা করছেন। আমার নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে হুমকি দিচ্ছে। আটক করার চেষ্টা করছে। অপরদিকে আমাদের করা মামলায় কাউকে আটক করছে না পুলিশ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাঘারপাড়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ, হরিপদ রায়, আজগর আলী, আকবার আলী, নুর মোহাম্মদ, আব্দুল মালেক মন্ডল, বাবুল কুমার সাহা, অভিরাম দেবনাথ, অরুন অধিকারী, গোলাম সরোয়ার, নরেন দেবনাথ, জালাল, মোল্লা, আমিনুর রহমান, নুর জালাল খান, নিখিল কুমার অদ্য, ফয়সাল আহম্মেদ মিল্টন, মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
অপরদিকে, নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ভিক্টোরিয়া পারভীন সাথী সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, নৌকার বিজয় নিশ্চিত জেনে দিলু পাটোয়ারি বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্যাডার ভাড়া করে এনে আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা নির্যাতন চালাচ্ছে। দিলু পাটোয়ারির নির্দেশে ১ ডিসেম্বর নৌকার প্রচার মাইক ভাংচুর ও পুড়ানো হয়। এ ব্যাপারে থানায় মামলা করতে গেলে মামলা নেয়া হয়নি। উল্টো আওয়ামী লীগের কর্মী সমর্থকদের অহেতুক হয়রাণি করা হচ্ছে। দিলু পাটোয়ারি স্থানীয় সংসদ সদস্য রনজিৎ কুমার রায়ের প্রত্যক্ষ মদদে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করছেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাঘারপাড়া থানার ওসি সৈয়দ আল মামুন যোগসাজস করে আমার পরিবারের সাদস্য টুটুলসহ নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণি করছেন। ওসির দাবিকৃত ১৫ লাখ টাকা না দেয়ায় নির্বাচন করতে দেবেন না বলে টুটুলকে হুমকি দিয়েছে। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামী লীগকে জানানো হয়েছে। তিনি অবিলম্বে বাঘারপাড়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নৌকা মার্কার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম আফজাল হোসেন, বাঘারপাড়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিথীকা বিশ্বাস, কামরুল হাসান টুটুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল্লাহ খন্দকার, ইঞ্জিনিয়ার বিপুল ফারাজী, এসএম আলমগীর হাসান রাজীব প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন