খুলনা, বাংলাদেশ | ১০ পৌষ, ১৪৩১ | ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘শুভ বড়দিন’ আজ

বাগেরহাটের শরণখোলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুর মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

বাগেরহাটের শরণখোলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কৌশিক নন্দী নামের সাড়ে চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৯ জুলাই) শরণখোলা থেকে বাগেরহাট জেলা হাসাপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু ঘটে।

শিশু কৌশিক নন্দী শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের ধানসাগর গ্রামের সমীর নন্দীর ছেলে। গেল শুক্রবার ৭ জুলাই) রাতে জ্বরে আক্রান্ত হয় শিশু কৌশিক নন্দী। পরের দিন শনিবার (৮ জুলাই) বিকেলে ছেলেকে নিয়ে রায়েন্দা নার্সিং হোমে যায় বাবা-মা। সেখানে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তাওহিদুল ইসলাম শিশু কৌশিক নন্দীর রক্ত পরীক্ষা শেষে ডেঙ্গু সনাক্ত করেন। পরে, তার রক্তের প্লাটিলেট গননার জন্য রায়েন্দা মনোয়ারা ডায়াগষ্টিক সেন্টারে প্রেরণ করা হয়। সেখানে তার রক্ষে ৯৮ হাজার সিএমএম পাওয়া যায়। পরে মেডিকেল অফিসার ডা. তাওহিদুল ইসলাম চিকিৎসা পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠান। ওই রাতেই শিশুটির শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটে। রবিবার (৯ জুলাই) সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য এ্যাম্বুলেন্স যোগে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে রওনা দেন। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই শিশুটি মারা যায় বলে জানিয়েছেন শিশুটির বাবা সমীর নন্দী।

বাগেরহাট জেলা হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জিয়াউল আদনান রুমেল বলেন, শিশুটিকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরে জ্বর ছিল। কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শিশুটির রক্তে প্লাটিলেটের পরিমান কম ছিল।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তাওহিদুল ইসলাম বলেন, শিশুটি যখন আমার কাছে এসেছিল তখন প্রচুর জ্বর ছিল শিশুটির শরীরে। ডেঙ্গুর মৌসুম হওয়ায় রোগীর প্লাটিলেট পরীক্ষা করা হয়। তার শরীরে ৯৮ হাজার প্লাটিলেট পাওয়া যায়। রোগীর অবস্থা মোটামুটি ভাল থাকায় তাকে স্লাইন দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু সকালে মৃত্যুর খবর শুনলাম। এটা আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক।

তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু কিন্তু বছর বছর তার রুপ পরিবর্তন করছে। আর যেহেতু এডিস মশা দিনের বেলায় কামরায়, সেই কারণে ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে দিনের বেলা অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় থাকার পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. প্রিয় গোপাল বিশ্বাস বলেন, ৯৮ হাজার প্লাটিলেট থাকলে রোগী মারা যাওয়ার কথা নয়। ওই শিশুর হয়ত আর কোন জটিলতা থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেন এই চিকিৎসক।

খুলনা গেজেট/এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!