বাগেরহাটের রামপালে দক্ষিণ বঙ্গের সর্ববৃহৎ চক্ষু চিকিৎসা শিবির সম্পন্ন শুরু হয়েছে। ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের উদ্যোগে ও লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলামের সহযোগিতায় এ কার্যক্রম আবারও শুরু করা হয়।
বড়দিয়া হাজী আরিফ (র.) মাদরাসা মাঠে সোমবার দিনব্যাপী রোগী বাছাই করা হয়েছে। এ বছর প্রায় ৫ শতাধিক ছানিপড়া ও নেত্রনালী রোগীকে অপারেশনের জন্য বাছাই করা হয়েছে।
এসব বাছাইকৃত রোগীদের ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালে ভর্তি করে অপারেশন ও লেন্স সংযোজন করা হবে। এ ছাড়াও প্রায় ৩ সহস্রাধিক রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান, বিনামূল্যে ঔষধ ও বয়স্ক রোগীদের চশমা প্রদান করা হয়েছে।
ইতিপূর্বে দেশের দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের এই সর্ববৃহৎ চক্ষু চিকিৎসা শিবিরের মাধ্যমে প্রায় সড়ে ৪ হাজার চোখে ছানি পড়া ও নেত্রনালীর রোগীকে ঢাকা নিয়ে অপারেশনসহ লেন্স সংযোজন করা হয়েছে। ওই সময়ে প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশী রোগীকে প্রাথমিক চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করা হয়েছে।
চিকিৎসা নিতে আগত বাগেরহাট সদরের সৈয়দপুর গ্রামের রোগী বৃদ্ধ ইসরাফিল মোড়ল তার অনুভূতি ব্যক্ত করে বলেন দীর্ঘ দুই তিন বছর এ এলাকায় চক্ষু চিকিৎসা শিবির বন্ধ থাকায় আমরা খুব অসুবিধায় ছিলাম। আবার চক্ষু চিকিৎসা শিবির চালু হওয়ায় আমাগো পরানের মানুষের জন্যি আমরা দুয়া করি। একই অনূভুতি ব্যক্ত করেন রামপালের সোনাতুনিয়া গ্রামের লাইলী বেগম, পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার চার বলেস্বর গ্রামের মো. শাহ আলম হাওলাদার।
অনুষ্ঠানে অনুভূতি ব্যক্ত করে ঢাকা মেগা সিটি লায়ন্স ক্লাবের সভাপতি লায়ন ডক্টর শেখ ফরিদুল ইসলাম বলেন আমি মানবতার কল্যাণে কাজ করে যেতে চাই। এ জন্য আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি ও দোয়া চাই। করোনার কারণে ২ দুই বছর পর আবারও আমাদের চক্ষু চিকিৎসা শিবির শুরু করেছি। আজকে আমরা ছানি পড়া ও নেত্রনালী রোগীসহ বিভিন্ন সমস্যার প্রায় ৫ শতাধিক রোগী বাছাই করেছি। প্রাথমিক চিকিৎসা ও ঔষধ প্রদান করা হয়েছে প্রায় ৩ সহস্রাধিক রোগী। যা চলমান আছে। রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রচন্ড রৌদ্র ও তাপ উপেক্ষা করে শত শত রোগী সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সেবা নিচ্ছিলেন।
খুলনা গেজেট/এসজেড