বাগেরহাটে সোমবার লকডাউনের পঞ্চম দিনে সড়কে যন্ত্রচালিত রিক্সা-ভ্যান, ইজিবাইক চলাচল বেড়েছে। একই সাথে বেড়েছে লোকজনের চলাচল। বাগেরহাট জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় রোদ ও বৃষ্টির মধ্যেই সেনাবহিনী ও নৌবাহিনীসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরা মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে।
লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা জুড়ে গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ টি ভ্রাম্যমাণ আদালত লকডাউনের মধ্যে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার অপরাধে ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে। পাশাপশি করোনা স্বাস্থ্য বিধি না মানায় ৯৪ টি মামলা দিয়ে ৯৬ জনকে ৭১ হাজার ৮৫০ টাকা জরিমানা করেছে।
লকডাউনে জেলার প্রবেশদ্বারসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। জেলার উপকূলীয় উপজেলা মোংলায় নৌবাহিনী-কোস্টগার্ড ও বাগেরহাট শহরসহ অন্য ৮টি উপজেলায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে টহল দিচ্ছে।
জনসাধারণ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হলেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জেরার মুখে পড়তে হচ্ছে। বাগেরহাটের হাট-বাজারে দোকানপাট বন্ধ রয়েছে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া লোকের সংখ্যাও সোমবার বেড়েছে। তবে সড়কগুলোতে জরুরি পণ্য সরবরাহ ছাড়াও কিছু ব্যক্তিগত গাড়ী এবং পণ্যবাহী ট্রাক চলাচলের পাশাপশি যন্ত্রচালিত রিক্সা-ভ্যান, ইজিবাইক চলাচল বেড়েছে। সব ধরনের যাত্রীবাহী বাস, হোটেল-রেস্তোরাসহ দোকানপাট, নৌযান, সরকারী-বেসরকারী সব অফিস বন্ধ রয়েছে। শুধু কাঁচা বাজার ও ওষুধের দোকানসহ জরুরি সেবা চালু রয়েছে। লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের সাথে কাজ করছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, কোষ্টগার্ড ও পুলিশ ও যুব রেডক্রিসেন্ট সদস্যরা মাঠে রয়েছে।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় দেশব্যাপী শুরু হওয়া লকডাউনে বাগেরহাটে লোকজনকে বাড়িতে রাখতে এবং অপ্রয়োজনে বাইরে বের না হতে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে প্রশাসন।
খুলনা গেজেট/এনএম