বাগেরহাটে টিকটক ও লাইকি এ্যাপসে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করার অপরাধে স্ত্রীকে হত্যা মামলায় স্বামী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্তকে কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত।
রবিবার (৯ মে) বিকেলে বাগেরহাটের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট স্বপন কুমার সরকার এই আদেশ দেন। এর আগে সকালে নিহত সোমার মা কমলা বেগম বাদী হয়ে বাগেরহাট থানায় হত্যা মামলা করেন। দুপুরে পুলিশ শান্তকে আদালতে সোপর্দ করে।
হত্যার শিকার সোমা আক্তার বাগেরহাট সদর উপজেলার সিংড়াই গ্রামের আব্দুল করিম বকসের মেয়ে। সে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজে ইংরেজী বিভাগে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে পড়াশুনা করতেন।
আত্মসমর্পণকারী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত দশানী উত্তরপাড়া এলাকার গোলাম মোহাম্মাদের ছেলে। সে ঢাকায় একটি বাইয়িং হাউসে কাজ করত। প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে ২০১৯ সালে নাইম ও সোমার বিয়ে হয়েছিল।
বাগেরহাট সদর থানা সূত্রে জানা যায়, টিকটক, লাইকি এ্যাপস ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপত্তিকর ছবি পোস্ট করাকে কেন্দ্র শনিবার (০৮ মে) সন্ধ্যায় বাগেরহাট শহরের দশানী উত্তরপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে এনে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে হত্যা করে আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত । পরবর্তীতে ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘাতক স্বামী আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত বাগেরহাট মডেল থানায় আত্মসমর্পন করে। পুলিশের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করে।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, সোমার মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্ত পুলিশের কাছে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছে। সোমার মা কমলা বেগমের করা মামলায় আব্দুল্লাহ আল নাইম ওরফে শান্তকে আমরা আদালতে সোপর্দ করেছি। আদালত শান্তকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেষ দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/ এস আই