বাগেরহাটে পিকআপ-ইজিবাইক মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এই নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়াল ৫।
এর আগে এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের টাউন নওয়াপাড়া এলাকায় খুলনাগামী একটি পিকআপের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে ইজিবাইকে থাকা ৩ জন নিহত এবং দুই জন আহত হয়েছেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে নেওয়ার পথে একজন এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়। এই নিয়ে এই দূর্ঘটনায় ইজিবাইকের ৫জন নিহত হলেন।
নিহতরা হলেন, বাগেরহাটের মুনিগঞ্জ এলাকার নোমান শেখের স্ত্রী শিক্ষিকা নিপা বেগম (২৮), রামপাল উপজেলার নবাবপুর এলাকার রাজমিস্ত্রি মো. মাসুম (৩০), একই এলাকার রাজমিস্ত্রি শওকত আলী (৪০), বাগেরহাট সদর উপজেলার সুগন্ধি গ্রামের মাজেদ শেখের ছেলে হিরণ শেখ (৩৫) ও একই উপজেলার মিরেরডাঙ্গা গ্রামের মোশারফ হোসেন খন্দকার (৪২)। নিপা বেগম বাগেরহাটের সায়েড়া মধুদিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারি শিক্ষক। মাত্র দুই মাস আগে তিনি এই চাকুরীতে যোগদান করেন।
ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তানভির ইসলাম অনিক বলেন, সড়ক দূর্ঘটনায় তিনজনকে মৃত এবং দুইজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আহত দুইজন অর্থ্যাৎ হিরণ শেখ এবং মোশারফ হোসেন খন্দকারকে আমরা খুলনা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এদের মধ্যে হাসপাতালে নেওয়ার পথে হিরণ শেখ মারা যায়। পরে শুনেছি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোশারফ হোসেন খন্দকারেরও মৃত্যু হয়।
কাটাখালি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, পিকআপ ও ইজিবাইকের সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে তিনজন, হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজন এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে নিহত তিন জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অন্য দুইজনের মরদেহের জন্য তাদের স্বজনদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সংঘর্ষের পরই পিকআপটি পালিয়েছে। এখনও পিকআপটি শনাক্ত করা যায়। শনাক্ত করতে কাজ চলছে।
খুলনা গেজেট/এএজে