খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ পৌষ, ১৪৩১ | ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট

বাগেরহাটে চোর সন্দেহে ব্যবসায়ীকে আটক রেখে নির্যাতন

নিজস্ব প্রতিবেদ,বাগেরহাট

চোর সন্দেহে বাগেরহাটে পোল্টি ফিড ব্যবসায়ীকে সিগারেটের ছ্যাকাসহ রাতভর আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ষাটগম্বুজ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকসহ সহযোগিদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে পাটরপাড়া বারুইডাংঙ্গা গ্রামে ক্লাব ঘরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তোভুগি বাগেরহাটের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার সুন্দরঘোনা গ্রামের শামছু ফকিরের ছেলে ফকির রনি।

ব্যবসায়ী রনি বলেন, ২৩ মে খুলনার ফুলতলা থেকে পিকআপে করে আনা সরকারি ধান বীজ বাগেরহাটের মল্লিকের বেড়-সন্নাসী এলাকায় ধান পৌছে দেই। সেখান থেকে বারুইডাঙ্গা এলাকায় শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করি। রাত ২টার দিকে রাস্তার পাশে পিকআপ রেখে শ্বশুরবাড়ীতে অবস্থান করছিলাম।

রাত ৩টার সময় অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে আমাকে জানানো হয় পিকআপের (মিনি ট্রাক) দরজা খোলা। মুঠোফোনে খবর পেয়ে দ্রুত আমি রাস্তায় যাই। সেখানে গিয়ে দেখি আমার গাড়ীর দরজা খোলা, গাড়ীর সামনের লাইট ভাংচুর করা, ড্যাসবক্স ভাঙ্গা। ওই সময়ে দেখা যায় ছাত্রলীগ নেতা আজিজুলের হাতে আমার গাড়ীর কাগজপত্র।

দেখামাত্র ছাত্রলীগ নেতা আজিজুল আমাকে বলে তুই আমাদের দেখে দৌড় দিলি কেন? গাড়ীতে রাখা গরুগুলো কোথায় গেল? এটা বলেই মারধর শুরু করে। থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টানা হেচড়া করে গাড়ীতে উঠায় এবং পশ্চিমডাঙ্গা ক্লাবঘরে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন করে। আমাকে হাতুরী দিয়ে পিটিয়েছে, গায়ে জলন্ত সিগারেট ছ্যাকা দিয়েছে। এতবেশি মেরেছে, মনে হয়েছে যেন এখনই মারা যাব। পরবর্তীতে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মোজাম ঘটনাস্থলে আসলে ছাত্রলীগ নেতা আমাকে ছেড়ে দেয়। ওরা আমার পকেটে থাকা নগদ টাকাও নিয়েছে। এসব কথা কাউকে বললে আরও বেশি অত্যাচার করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন তারা। অন্যায়ভাবে আমাকে যারা নির্যাতন করেছে তাদের বিচার চাই।

ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আজিজুল বলেন, চোর সন্দেহে ফকির রনিকে ধরা হয়। তাকে দুটো চর-থাপ্পর মারা হয়েছে। পরবর্তীতে ইউপি সদস্য মোঃ মোজাম ঘটনাস্থলে এসে ফকির রনি চোর না বিষয়টি নিশ্চিত করলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কে,এম আজিজুল ইসলাম বলেন, এক ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে মারপিটের একটি ঘটনা শুনেছি। ওই ব্যবসায়ী লিখিত একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!