বাগেরহাটের চিতলমারীতে শৈলেন্দ্রনাথ মন্ডল (৭২) নামের এক ঘের ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার মামলায় দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে চিতলমারী উপজেলার বাখেরগঞ্জ বাজার থেকে অপূর্ব মন্ডল (২৫) এবং রবিবার(১৩ মার্চ) সকালে কচুয়া উপজেলার সাইনবোর্ড বাজার থেকে সুব্রত হালদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতদের বাড়ি মোরেলগঞ্জ উপজেলার লক্ষীখালী গ্রামে। গেল বুধবার ফকিরহাট উপজেলার শ্রমিকের হাট থেকে ঘেরের কাজ করানোর জন্য ওই দুই শ্রমিককে বাড়িতে আনেন শৈলৈন্দ্রনাথ মন্ডল।
জানা যায়, বাগেরহাটের চিতলমারীতে শৈলেন্দ্রনাথ মন্ডল (৭২) নামের এক ঘের ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। শনিবার (১২ মার্চ) রাতে চিতলমারী উপজেলার খিলগাতি এলাকায় বৃদ্ধের ঘেরের পারে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। বৃদ্ধকে হত্যার পরে বাড়ি এসে তার স্ত্রী রমা মন্ডল (৬০)কেও বিদ্যুতের সক দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে অপূর্ব মন্ডল ও সুব্রত হালদার নামের ওই দুই শ্রমিক। এসয়ম ওই দুই শ্রমিক বৃদ্ধের ঘরে থাকা ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্নালংকার লুটে নেয় তারা এমন অভিযোগ করেছেন শৈলৈন্দ্রনাথ মন্ডলের পরিবার।
রবিবার (১৩ মার্চ) ভোরে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে চিতলমারী থানা পুলিশ। নিহত শৈলৈন্দ্রনাথ মন্ডল খিলগাতি গ্রামের মৃত মহেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে।
হত্যার শিকার শৈলেন্দ্রনাথ মন্ডলের বড় জামাতা মিলন কুমার বাড়ই বলেন, ঘেরের কাজ করানোর জন্য বুধবার এই দুই শ্রমিককে ফকিরহাট থেকে বাড়িতে এনেছিল আমার শ্বশুর। শনিবার ঘেরের মাছ বিক্রি করে ৫০ হাজার টাকা বাড়িতে এনে রাখেন তিনি। ঘেরে কতটুকু পানি রাখবে এটা দেখানোর জন্য রাতে শ্বশুরকে ঘেরের পারে ডেকে নেয় অপূর্ব ও সুব্রত। পরবর্তীতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তারা আমার শ্বশুরকে হত্যা করে। শ্বশুরকে হত্যার পরে বাড়িতে এসে, আমার শ্বাশুরীকে বিদ্যুতের শক দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এসময় শ্বাশুরীর ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। আমরা এই নির্মম হত্যাকান্ডের সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক বলেন, বৃদ্ধকে হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই শ্রমিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য তারা এই হত্যার ঘটনা ঘটিয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এর সাথে অন্যকোন ঘটনা আছে কিনা তাও ক্ষতিয়ে দেখছে পুলিশ। নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই