খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ পৌষ, ১৪৩১ | ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  হাইকোর্টের বেশ কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে অনিয়ম তদন্তে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১৬৫
  গাজীপুরের শ্রীপুরে বোতাম তৈরির কারখানায় আগুনে নিহত ১

বাগেরহাটে গ্রামরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে চিংড়ি ঘের ও লোকালয় প্লাবিত

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটে গ্রাম রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে কেশবপুর গ্রামের শতাধিক চিংড়ি ঘের, ঘরবাড়িসহ লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে ভৈরব নদীর জোয়ারের পানির চাপে সদর উপজেলার কেশবপুর গ্রামের মুনিগঞ্জ সেতু সংলগ্ন এলাকার পাকা সড়কটি ভেঙ্গে যায়। এতে স্থানীয়দের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।বসত ঘর ও রান্না ঘরে পানি উঠে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে কেশবপুরের শতাধিক পরিবার। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ ও সবজি ক্ষেত। চুলোয় পানি ওঠায় অনেক পরিবার রান্নাও করতে পারেননি।

স্থানীয় জুয়েল হাওলাদার, ফিরোজ হাওলাদার, নোমান হাওলাদারসহ স্থানীয়রা বলেন, ‘ব্রিজের নিচ থেকে কিছু দূরে এসে গ্রামরক্ষা বাঁধের একটি অংশে নালা তৈরি হয়। জোয়ারের পানির চাপে ওই জায়গা থেকে পাকা বাঁধ (রাস্তা) ভেঙ্গে যায়। ভেঙ্গে পানি ঢুকে আমাদের পুরো এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়। আমাদের অনেকের মৎস্য ঘের, সবজি ক্ষেত ও ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। ঘেরের মাছ ও সবজি ভেসে গেছে। করোনা পরিস্থিতিতে এই ক্ষতি কিভাবে পূরণ হবে জানিনা।’

হাসিনা বেগম, নাজমুন নাহার, নাছু বেগম বলেন, ‘হঠাৎ করে পানি এসে বসত ঘর ও রান্নাঘর ডুবে গেছে। চুলোর মধ্যে পানি উঠে গেছে, রান্না করতে পারিনি। পানি না নামলে কিভাবে কি করব জানিনা।’

বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাহিদুজ্জামান খান বলেন, ‘পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাজিরপুর উপ-প্রকল্প নামে কেশবপুর এলাকায় একটি বেড়িবাঁধ ছিল। ১০-১২ বছর আগে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এখানে পাকা সড়ক করে। গ্রামে জোয়ারের পানি প্রবেশের জন্য কালভার্ট করা হয়। বাঁধের পাশে স্থানীয়দের চিংড়ি ঘেরে পানি চলাচল সচল রাখার জন্য বাঁধের নিচ থেকে ছোট ছোট পাইপ দিয়েছেন। এই পাইপ ও কালভার্টের ফলে বাঁধটি দূর্বল হয়েছে এবং ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে।আমরা যতদ্রুত সম্ভব এখানে বাঁধ সংস্কারের মাধ্যমে লোকালয়ে পানি প্রবেশ বন্ধ করব।’

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!