গঠনতন্ত্র বহির্ভূতভাবে বাগেরহাট সদর, কচুয়া, মোংলা উপজেলা ও মোংলা পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক কমিটি করার অভিযোগ উঠেছে। বিতর্কিত এই কমিটি বাতিল করে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তৃনমূল নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ নাছির আহমেদ মালেক। সোমবার (২২ মে) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি জানান।
এসময়, বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম স্বপন, শরিফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আফজাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম, তরফদার সজিবসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাছির আহমেদ মালেক বলেন, দীর্ঘদিন রাজনীতির বাইরে থাকা এটিএম আকরাম হোসেন তালিম ২০১৯ সালে জেলা বিএনপির আহবায়কের দায়িত্ব পান। এরপর থেকে অদ্যাবধি জেলা কমিটির আওতাধীন ১২টি ইউনিটের একটি ইউনিটেরও পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাগেরহাট সদর, কচুয়া, মোংলা উপজেলা ও মোংলা পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পারি। সেখানে কোন স্বাক্ষর ছাড়াই জেলা বিএনপির প্যাডে এই চারটি ইউনিটের আহবায়ক ও সদস্য সচিবের নাম দেখতে পাই। এতে তৃনমূলের নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়েছে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তৃনমূলের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে ইউনিট কমিটিগুলো পূর্ণাঙ্গ করার দাবি জানান তিনি। সেই সাথে আগামীতে আন্দোলন সংগ্রাম জোরদার করতে তৃনমূলের নেতাকর্মীদে গুরুত্ব দেওয়ার জন্য ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এই নেতা।
বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফফর রহমান আলম বলেন, যে চারটি ইউনিট নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেখানে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বর্ধিত সভা করা হয়েছে। এরপরে যাচাই-বাছাই করে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মূলত সৈয়দ নাছির আহমেদ মালেক বাগেরহাট সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক প্রার্থী ছিলেন। আহবায়ক না হতে পেরে তিনি এই অভিযোগ তুলেছেন।
খুলনা গেজেট/ এসজেড