ব্রিটিশ সাংবাদিক সাইমন ড্রিং আর নেই। গত শুক্রবার তিনি মারা যান। অসুস্থ সায়মন ড্রিং তলপেটে সার্জারি চলাকালে লন্ডনে মারা যান। সাইমন ড্রিং এর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বাংলাদেশি বন্ধু সাংবাদিক তুষার আব্দুল্লাহ।
একুশে টিভিতে সাইমন ড্রিং এর সহকর্মী হিসেবে কাজ করেছেন তুষার আব্দুল্লাহ। মঙ্গলবার (২০ জুলাই) দুপুরে তুষার আব্দুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশে টিভি মিডিয়ার সম্প্রসারণে আইকনিক ক্যারেক্টর ছিলেন সাইমন ড্রিং।
কলম আর ক্যামেরা হাতে নিজের জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে নিরীহ বাংলাদেশিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন সাংবাদিক সায়মন ড্রিং।
সাইমন ড্রিং বাংলাদেশে ২০০০ সালে এসেছিলেন এ দেশের প্রথম বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভি গড়ে তোলার প্রধান কারিগর হিসেবে। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর একুশে টিভি বন্ধ করে দেয়। ২০০২ সালের অক্টোবরে সরকার সাইমন ড্রিংয়ের ভিসা ও ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে তাঁকে অবিলম্বে বাংলাদেশ ত্যাগের আদেশ দিলে তিনি চলে যান।
সাইমন ড্রিংয়ের জন্ম ইংল্যান্ডে, ১৯৪৫ সালে। তিনি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনের সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছেন ১৮ বছর বয়স থেকে। দেখেছেন ২২টি যুদ্ধ, অভ্যুত্থান ও বিপ্লব।
খুলনা গেজেট/এনএম