দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরে ‘ব্যাকফুটে’ নিউজিল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামে কিউইরা। টেস্টের প্রথম দিনের সকালের সেশনে সবুজ উইকেটের ফায়দা কাজে লাগাতে পারেননি বাংলাদেশি পেসাররা। উল্টো সফরকারী বোলারদের শাসন করে ওয়ানডে স্টাইলে স্কোর বোর্ডে রান তুলেছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। স্বাগতিকদের দাপুটে ব্যাটিংয়ের আড়ালে আক্ষেপ সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশ দলের।
টেস্টের প্রথম দিনের প্রথম সেশনে খেলা হয়েছে সাকুল্য ২৫ ওভার। যেখানে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৯২ রানের সংগ্রহ নিউজিল্যান্ডের। অধিনায়ক টম লাথাম ৬৬ এবং উইল ইয়ং ২৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করবেন।
নিউজিল্যান্ড তাদের ইনিংসের শুরুটা অবশ্য বেশ সতর্কতার সঙ্গে করে। নতুন বলে প্রথম ঘণ্টা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল মুমিনুল হকের দল। মাঝে কিছু আলগা বল পেয়ে সেগুলো কাজে লাগিয়ে স্কোরবোর্ডে রান তুলেছেন দুই ওপেনার লাথাম ও ইয়ং। বল যত পুরনো হতে থাকে, ততই খোলস ছেড়ে বের হয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং প্রদর্শনী করতে থাকেন এই দুই ব্যাটসম্যান। মধ্যাহ্ন বিরতিতে যাওয়ার আগে মাত্র ৬৫ বল খেলে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নেন লাথাম।
কিউই দলপতি ফিরতে পারতেন ইনিংসের নবম ওভারেই। মুমিনুল ম্যাচে প্রথমবারের মতো বোলিংয়ে আনেন প্রথম টেস্টের নায়ক ইবাদত হোসেনকে। ডানহাতি পেসারের শুরু বলে কাট করে বল সীমানায় পাঠান লাথাম। দ্বিতীয় বল ভেতরে ঢুকিয়েছিলেন ইবাদত। বল আঘাত করে লাথামের থাই প্যাডে। এবার জোরালো আবেদন বাংলাদেশের। আম্পায়ার আঙুলও তুলে দেন। কিন্তু রিভিউ নিয়ে বেঁচে যান লাথাম। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল লেগ স্টাম্প দিয়ে বেরিয়ে যেত।
একই ওভারের পঞ্চম বলে আবার একই কাণ্ড। এবারও ইবাদতের আবেদনে আঙুল তোলেন আম্পায়ার। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায়, বল স্টাস্পের উপর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। দুইবার অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বেঁচে গেলেন লাথাম।
দুই বার ফিরে পাওয়া জীবনের সঠিক ব্যবহার করেন ব্যাট হাতে। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৮৩ বলে ৬৬ রান নিয়ে অপরাজি আছেন তিনি। যেখানে ১২টি চার মারেন লাথাম। দিনের বাকি সময় দলকে কোনরকম বিপদে পড়তে দেননি স্বাগতিক অধিনায়ক। ইয়ংকে সঙ্গে নিয়ে প্রথম সেশনের পুরোটা সময় কাটিয়ে দেন লাথাম। কোন উইকেট না হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ৯২ রানের সংগ্রহ নিউজিল্যান্ডের। অধিনায়ক টম লাথাম ৬৬ এবং উইল ইয়ং ২৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় সেশনের খেলা শুরু করবেন।