প্রায় ২০০ কোটি টাকা বাজেটে নির্মিত সালমান খানের ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ চলতি বছর এপ্রিল মাসে ভারতে মুক্তি পায়।সেখানকার প্রেক্ষাগৃহে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। পরে গত ২৫ আগস্ট বাংলাদেশের ৪২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। ছবিটি নিয়ে বাংলাদেশের আমদানিকারকেরা যে ধরনের প্রত্যাশা করেছিলেন, তা হতাশ করেছে।
মুক্তির প্রথম দিন স্টার সিনেপ্লেক্সের ৭টি শাখায় মোট ১৮টি শো ছিল। দর্শকখরার কারণে পরদিনই ছবিটির শো কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে স্টার সিনেপ্লেক্সের দুই শাখায় চারটি করে শো চলছে।
বাংলাদেশে ছবিটির মুক্তির প্রায় ছয় দিন পার হচ্ছে। জানা গেছে, সব মিলে প্রেক্ষাগৃহ থেকে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় এসেছে আমদানিকারকদের হাতে।
প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের এমন চিত্র দেখে বাংলাদেশে ছবির আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান এন ইউ আহম্মদ ট্রেডার্সের কর্ণধার কামাল মোহাম্মদ কিবরিয়া হতাশ। গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘৪২টি হল থেকে প্রথম দিন মাত্র দুই লাখ টাকা এসেছে। এরপর গত ছয় দিনে যে আয় হয়েছে, তা বলার মতো নয়। ছবিটির আমদানিসহ আরও যে আনুষঙ্গিক খরচ হয়েছে, তাতে বড় রকমের লোকসান গুনতে হচ্ছে।’
স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা ছবিটি নিয়ে অনেক প্রত্যাশা করেছিলাম। কারণ, সালমান খানের ছবি বলে একটা কথা। কিন্তু ছবিটি দর্শক গ্রহণ করল না। হল ফাঁকা যাচ্ছে। আমরা ৭টি শাখায় ১৮টি শো দিয়েছিলাম। কিন্তু হতাশ হয়ে পরদিন থেকে শো কমিয়ে দিয়েছি। কিছু করার নেই।’
খুলনা গেজেট/ টিএ