বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী (পঞ্চাশ বছর) উপলক্ষে সেদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া দুই যুদ্ধজাহাজ কলকাতায় এসেছে। দুই যুদ্ধজাহাজের নাম ‘ঐরাবত’ ও ‘কোরা’। এই দুই যুদ্ধজাহাজ ১৯৭১ সালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।কলকাতাবাসীর জন্য তা উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বলে ভারতীয় নৌবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় শাখা কলকাতার নেভিহাউসের অফিসাররা জানান। বাইরে থেকে দেখানোর জন্য সুযোগ করে দেওয়া হলেও করোনার জন্য যুদ্ধজাহাজের ভিতরে আপাতত ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে নৌবাহিনী সূত্রে জানানো হয়েছে ।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে একটি বড় সাবমেরিন আনার উদ্যোগ নিয়েছিল ভারতীয় নৌবাহিনী। কিন্তু গঙ্গার গভীরতা সাবমেরিনের পক্ষে যথেষ্ট নয়। তুলনায় যুদ্ধজাহাজ আসাটা অনেক সহজ।
কলকাতার নেভিহাউসের এক অফিসার জানান, যুদ্ধজাহাজ ‘ঐরাবত’ – এর পেটের অংশে রয়েছে ট্যাঙ্ক রাখার জায়গা। জাহাজের ভিতরে থাকতে পারেন বেশ কয়েক কোম্পানি সেনাবাহিনীও। রয়েছে হেলিপ্যাড। ফলে জরুরি অবস্থায় অবতরণ করানো যাবে হেলিকপ্টার।কেন না বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে এই যুদ্ধজাহাজ থেকে যুদ্ধ- ট্যাঙ্ক সরাসরি সমুদ্র সৈকতে নেমে যেতে পারে এবং সেই সঙ্গে সেনাবাহিনীও।
একইভাবে ‘কোরা’ও উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধজাহাজ বলে দাবি নেভিহাউসের। এই যুদ্ধজাহাজ নিযুক্ত নৌসেনারা যুদ্ধে খুবই দক্ষ। এই যুদ্ধজাহাজে থাকা ষোলটি কামান থেকে ছোঁড়া মিসাইল সমুদ্র থেকেই শত্রুপক্ষের জলযান অথবা ধ্বংস করতে পারবে।এছাড়াও যুদ্ধের জন্য ঐ জাহাজের বিভিন্ন কোণে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় বন্দুক যার দ্বারা ঘায়েল হবে শত্রুপক্ষ। তাছাড়া শত্রুপক্ষকে নজরদারি করার যাবতীয় স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা রয়েছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই