স্থানীয় সন্ত্রাসী কর্তৃক গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের মেসে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় ৮ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। পরে পুলিশ হামলার মূল হোতা ইফতিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) জুম্মার নামাজের পর লিপুজ ক্যান্টিন চত্বর থেকে মিছিলটি বের হয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার স্থানীয় সন্ত্রাসীরা ‘তোরা সমন্বয়ক, তোরা আন্দোলন করিস বলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে শিক্ষার্থীরা বিচারের দাবিতে গোপালগঞ্জ সদর থানায় জড়ো হয়। এঘটনায় আহত শিক্ষার্থীরা বাদী হয়ে মামলা করেছেন বলে জানা গেছে। যদিও শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল প্রশাসন বাদী হয়ে মামলা করবে।
বিক্ষোভ মিছিলে ‘সন্ত্রাসীদের কাল হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও, সন্ত্রাসীদের আস্তানা গোপালগঞ্জে হবে না’ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে পরিবেশ বিজ্ঞান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী আবু দারদা সোহান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শতভাগ আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার্থীদের শতভাগ আবাসন সবথেকে প্রয়োজনীয়। প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত বাসা ভাড়া করে আবাসন সংকট দূর করা।’
একই বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব বিল্লাহ বলেন, ‘এই বিক্ষোভ মিছিলে আমরা কাঁদতে আসিনি। আমরা আমাদের ভাইদের উপর হামলার বিচারের দাবিতে এসেছি। আমরা অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হামলার বিচার দাবি করছি এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।’
খুলনা গেজেট/এএজে