বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীকে গণধর্ষণ ও আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) মশাল মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে পৃথকভাবে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মশাল মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে বিকেলে একই দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।
মিছিল ও সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীরা নানা স্লোগান দেন। ধর্ষণে এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান তারা।
সমাবেশে শামসুন্নাহার হল সংসদের সাবেক ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি বলেন, প্রতিবাদে না নামলে কেন যেন দেশে নির্যাতনের বিচার হচ্ছে না। এ যন্ত্রণার শেষ কোথায়? বাংলাদেশে যেন কন্যাসন্তান জন্ম নেওয়া অভিশাপ না হয়, সেজন্য সর্বস্তরের জনগণকে সচেতন হতে হবে।
সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী অরুণিমা তাহসিন বলেন, আজ আমরা ঘরে, ক্যাম্পাসে, রাস্তায় কোথাও নিরাপদ নই। ধর্ষণের প্রতিবাদে আন্দোলন করলেও সেখানে হামলা করা হয়। যারা ধর্ষণ করে, ধর্ষণের পৃষ্ঠপোষকতা করে সবার বিরুদ্ধে লড়ে যেতে হবে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ধর্ষকদের ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।
ছাত্র ফ্রন্টের সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঘটনার দুদিন পার হয়ে গেলেও এখনও অপরাধীকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। তাই শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে নেমেছিল। তাদের দাবির মধ্যে একটি ছিল সব শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকট, পরিবহন সংকটের কারণে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন এলাকায় অনিরাপদ পরিবেশে থাকতে বাধ্য হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিকল্প ব্যবস্থা করে দেওয়ার কথা থাকলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। তাই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাদের কথা জানানোর জন্য রাজপথে বিক্ষোভ করছিল। সেই বিক্ষোভে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে।