বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া প্রতিটি মানুষেরই ত্বকে ও চুলে প্রভাব ফেলে। ত্বক হারায় কোমলতা, হয়ে ওঠে খসখসে। এতে চুলকানি হতে পারে। ছত্রাকজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবও বেড়ে যায়। তাই এসময় চর্মরোগ থেকে রক্ষা পেতে সাবধাণতা অবলম্বন করতে হবে।
অ্যাথলেট ফুট
বৃষ্টির দিনগুলোতে অধিকাংশ সময় পা ভেজা থাকলে পায়ের পাতা কিংবা দুই পাতার মাঝখানে চুলকানি বা জ্বালা হতে পারে। এটাকে অ্যাথলেট ফুট বলে এবং এটি একটি ছত্রাকজনিত রোগ। এ সমস্যায় পা ভালোভাবে পরিষ্কার করে শুকনো রাখতে হবে। পাশাপাশি অ্যান্টি ফাংগাল ওষুধ ব্যবহার করতে হবে এবং খোলা জুতা পরতে হবে।
দাদ
বর্ষাকালে ঘাড়, পায়ের পাতা, বগলের নিচে গোল চাকার মতো লালচে ক্ষতস্থান সৃষ্টি হতে পারে, এটাকে দাদ বলে। ক্ষতস্থানে চুলকানি হয়। এক্ষেত্রে পরিষ্কার পোশাক পড়তে হবে। কোনোভাবেই ক্ষতস্থানে কাটাছেঁড়া করা যাবে না।
একজিমা ও টিনিয়া ক্যাপিটিস
ত্বকে জ্বালা, ত্বক ফেটে যাওয়া এবং বারবার চুলকানি হওয়া এগুলো একজিমার লক্ষণ। আর টিনিয়া ক্যাপিটিস রোগে মাথার ত্বকে দাদ হয়। তবে এই ছত্রাকজনিত রোগের ফলে ক্ষত স্থান দেখা যেতে পারে ভ্রু, দাড়িতে।
চুলকানিতে ঘরোয়া চিকিৎসা
লেবু ও বেকিং সোডা দিয়ে তৈরি পেস্ট চুলকানি হওয়া স্থানে লাগালে চুলকানি কমে। দুই চামচ বেকিং সোডা ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ৫-১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন গোসলের আগে এই পেস্টটি ব্যবহার করলে চুলকানি কমে যাবে।
ত্বকের জন্য দারুণ ভালো উপকার দেয় চন্দন। উন্নত মানের চন্দনের গুঁড়ার প্রলেপ চুলকানির স্থানে লাগিয়ে রাখলে উপকার পাবেন।
নিমে আছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণ। ত্বকের যেকোনো চুলকানি কমাতে পারে নিম বেশ উপকারি। নিম পাতা বেটে ত্বকে প্রলেপ লাগান। উপকার পাবেন।
আর ত্বকের ফোলাভাব কমায় নারকেল তেল। এতে ত্বক কোমল হয়। চুলকানিও কমে। হাতের তালুতে সামান্য নারকেল নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে চুলকানির স্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।
খুলনা গেজেট/এনএম