খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ পৌষ, ১৪৩১ | ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  চট্টগ্রামে শাহ আমানত বিমানবন্দরে চোরাচালানের স্বর্ণ বহনের অভিযোগে যাত্রী আটক, বিমান জব্দ

বর্ষার আগমনে নৌকা তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা

এস এস সাগর, চিতলমারী

বাগেরহাটের চিতলমারীতে বর্ষার আগমনে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নৌকার চাহিদা বেড়েছে। ফলে এ উপজেলায় নৌকা তৈরি ও বেচাকেনার শুরু হয়েছে। নৌকা তৈরিতে কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা রাতদিন একটানা কাজ করেও চাহিদা পূরণে হিমশিম খাচ্ছেন।

সাবোখালী গ্রামের পংকজ রাজবংশী, কাঙাল রাজবংশীসহ অনেকে জানান, বর্ষার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এলাকার অধিকাংশ জেলে নৌকা দিয়ে মাছ শিকার করেন। নিম্নাঞ্চলের কৃষকেরা সারা বছর জুড়ে তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিপণনের জন্য নৌকা ব্যবহার করে থাকেন। চিংড়ি ও সাদা মাছের ঘেরেও নৌকা ব্যবহার হয়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে কারিগররা নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। কেউ করাত দিয়ে কাঠ কাটছে কেউ হাতুড়ি দিয়ে নৌকায় পেরেক লাগাতে ব্যস্ত।

নৌকা তৈরির কারিগর (মিস্ত্রি) মোঃ হাসান শেখ, মোঃ রুহুল আমিন ও মোঃ হাবিল রহমান বলেন, ছোটবেলা থেকে বর্ষার সময় নৌকা তৈরি করি। বড় নৌকার চেয়ে ছোট ডিঙ্গি ও কোশা নৌকার চাহিদা বেশি। এতে প্রতিটি ১২ হাতের নৌকা বানাতে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। বিক্রি করা যায় ৭ থেকে ৮ হাজার টাকায়।

নালুয়া এলাকার স্মিল মিস্ত্রি ও নৌকা তৈরির কারিগর মোঃ জাহাঙ্গীর বলেন, বর্ষা মৌসুম এলে নৌকা তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকি। এই সময় নৌকার চাহিদা বেড়ে যায়। আমরাও অতিরিক্ত কিছু আয় করতে পারি। একটি ছোট নৌকা তৈরি করতে ৪ হাজার টাকার কাঠ লাগে। একটি নৌকা বানাতে দুইজন মিস্ত্রী দুই দিন সময় লাগে। তাদের মজুরী দিতে হয় ২ হাজার টাকা। তবে কাঠের দাম ও হেলপারদের মজুরী বেড়ে যাওয়ায় লাভ তুলনামূলক ভাবে কম হয়। বাণিজ্যিক ভাবে বড় আকারের ৫০ হাতের একটি কাঠের নৌকা তৈরি করতে প্রায় চার লাখ টাকা খরচ হয়।

নৌকা কিনতে আসা হাবিব শেখ বলেন, বর্ষা মৌসুম এলেই নিচু এলাকাতে নৌকার প্রয়োজন দেখা দেয়। নিচু এলাকায় হওয়ায় বন্যার পানিতে রাস্তা তলিয়ে যায়। নৌকা ছাড়া চলাচলের কোনো উপায় থাকে না। তখন নৌকাই যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। এ ছাড়া অনেকেই পুরাতন নৌকা মেরামত করে নিচ্ছেন ব্যবহারের উপযোগী করে তোলার জন্য।

 

খুলনা গেজেট/এমএইচবি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!