গত ২৪ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় নতুন করে ১৮৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ৯০৫ জনে।
এই সময়ে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১৩ জন ও করোনা ওয়ার্ডে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া গেল ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে বরিশাল জেলায় দুজন, পটুয়াখালীতে এক, পিরোজপুরে দুই ও ঝালকাঠিতে দু’জনসহ মোট সাতজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এ পর্যন্ত বরিশাল বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৪১৪ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
তিনি জানান, মোট আক্রান্ত ২৭ হাজার ৯৯৫ জনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৭ হাজার ৫২০ জন।
আক্রান্ত সংখ্যায় বরিশাল জেলায় নতুন সর্বোচ্চ ১০৯ জন নিয়ে মোট ১১ হাজার ৯৫৩ জন, পটুয়াখালী জেলায় নতুন আটজন নিয়ে মোট ৩ হাজার ৪৪২, ভোলা জেলায় নতুন ৪৯ জনসহ মোট দুই হাজার ৮২৬ জন, পিরোজপুর জেলায় নতুন ৯ জনসহ মোট তিন হাজার ৮৫৫, বরগুনা জেলায় নতুন চারজন নিয়ে মোট আক্রান্ত ২ হাজার ৩৮৭ এবং ঝালকাঠি জেলায় নতুন চারজন শনাক্ত নিয়ে মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৫৩২ জনে।
এদিকে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে উপসর্গ নিয়ে ১৩ জনের এবং করোনা ওয়ার্ডে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে শুধুমাত্র শেবাচিম হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডেই উপসর্গ নিয়ে ৭১০ জন এবং করোনা ওয়ার্ডে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৬৫ জনের মৃত্যু হলো। আর উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ৭১০ জনের মধ্যে ৪৬ জনের কোভিড টেস্টের রিপোর্ট এখনও হাতে পাওয়া যায়নি।
ওই হাসপাতাল পরিচালক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার) সকাল পর্যন্ত শেবাচিমের করোনার আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৩৭ জন ও করোনা ওয়ার্ডে ১৫ জন ভর্তি হয়েছেন। করোনা ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে এখন ২৭৭ জন চিকিৎসাধীন। এদের মধ্যে ১০১ জন করোনা ওয়ার্ডে এবং ১৭৬ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরটি পিসিআর ল্যাবে মোট ১৮৮ জন করোনা পরীক্ষা করান। এর মধ্যে ৫২ দশমিক ৬৫ শতাংশ পজিটিভ শনাক্তের হার।
খুলনা গেজেট/এনএম