বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে দ্বিতীয়বারের মতো মুখোমুখি হয়েছে জেমকন খুলনা ও ফরচুন বরিশাল। ওপেনার জাকির হাসানের অর্ধশতকে ভর করে খুলনা নির্ধারিত ২০ ওভারে সংগ্রহ করেছে ১৭৩ রান। ৩টি উইকেট পেয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি।
দিনের শুরুতে মিরপুর ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। বড় পরিবর্তন এনে খুলনা ইনিংস উদ্বোধনে পাঠায় জাকির হানার ও জহুরুল ইসলাম অমিকে। শুরুতেই তাদের চেপে ধরেন আবু জায়েদ রাহি ও তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন জহুরুল। ফেরার আগে করেন ১০ বলে ২ রান।
দ্বিতীয় উইকেটে হাত খুলে খেলতে থাকেন ইমরুল কায়েস ও জাকির। টুর্নামেন্টে প্রথম সুযোগ পেয়েই অর্ধশতক হাঁকান জাকির। ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। এই দুইজনের ব্যাটে দারুণ গতিতে এগিয়ে যেতে থাকে জেমকন খুলনা। সেই সময়ে ইমরুলকে শিকার করে বরিশালের উদযাপনের উপলক্ষ এনে দেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। দ্বিতীয় স্পেলে এসে দুর্দান্ত খেলতে থাকা জাকিরকে শিকার করেন তাসকিন।
৩৪ বলে ৩৭ রান করে তামিমের তালুবন্দী হন ইমরুল। তার ইনিংসে ছিল ২টি চার ও একটি ছয়। দৃষ্টিনন্দন সব শটে জাকির করেন ৪২ বলে ৬৩ রান। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ চার দিয়ে।
সাকিব আল হাসান ভালো শুরু করলেও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ হন। তানভীর ইসলামের বলে সীমানার কাছে তৌহিদ হৃদয়ের তালুবন্দী হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন সাকিব। তিনি ২ চারে করেন ১০ বলে ১২ রান।
শেষ দিকে অধিনায়ক রিয়াদের ১৪ বলে ২৪ রানে খুলনা পেয়ে যায় ১৭৩ রানের সংগ্রহ। ১ বলে ৬ রানে আরিফুল হক ও ২ বলে ৫ রানে শুভাগত হোম অপরাজিত থাকেন।
আজকেও শুরুতে দুর্দান্ত বোলিং করেন বরিশালের পেসার তাসকিন। কিন্তু শেষটা রাঙাতে পারেননি তিনি। ৪৩ রানের খরচায় নেন ২টি উইকেট। শেষ ওভারে ২টি সহ মোট ৩টি উইতেট পান রাব্বি।