নোয়াখালীর হাতিয়ার মেঘনা নদীতে বরযাত্রীসহ নৌকা ডুবির ঘটনায় দুই শিশু ও এক নারীসহ আরো ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয় জেলেরা। শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ও শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে পৃথক স্থান থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়।
হাতিয়া নৌ পুলিশের নলচিরা ঘাটের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. একরামুল্লা জানান, এ পর্যন্ত মোট ১০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার দিন টাংকির ঘাট এলাকা থেকে কনেসহ সাতজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এছাড়া শুক্রবার সকালে হাসান ও রাতে নিহার নামের দুই শিশুর মরদেহ গজারিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। শনিবার ভোরে জাকারিয়া বেগম এর মরদেহ মনপুরা থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় জেলেরা। খবর পেয়ে পুলিশ ও কোস্টগার্ড মরদেহগুলো উদ্ধার করে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুর দেড়টার দিকে বরযাত্রীবাহী একটি ট্রলার হাতিয়ার আয়েশা আলী ঘাট থেকে ঢালচর যাওয়ার পথে মেঘনা নদীতে স্রোতের তোড়ে ডুবে যায়। ওইদিন বেশিরভাগ যাত্রী সাঁতরে কুলে উঠতে পারলেও নববধূ তাসলিমাসহ অন্তত ১৫ জন নিখোঁজ হয়। পরে বিকালে ট্রলারটি টাংকির ঘাট এলাকায় মেঘনায় ভাসতে থাকলে স্থানীয়রা সেটিকে টেনে ঘাট এলাকা নিয়ে ট্রলার থেকে নববধূ ও তিন শিশুসহ ৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করে।