দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পানি নেমে যাওয়ার পর থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে শুরু করছেন বন্যার্তরা। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরে অনেকে নিজের ঘরবাড়ি ঠিক করার চেষ্টা করছেন। তবে যাদের ঘরবাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে তাদের অনেকে এখনও বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্র ও আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে রয়েছেন।
রোববার নতুন করে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। সবশেষ শনিবার পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ছিল ৫৯। এর মধ্যে পুরুষ ৪১, নারী ৬ ও শিশু ১২। শুধু ফেনীতেই মারা গেছেন ২৩ জন। তবে এখনও পানিবন্দি হয়ে আছে প্রায় ৭ লাখ ৫ হাজার ৫২টি পরিবার। গতকাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবারের বন্যায় ৬৮ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন-পৌরসভা ৫০৪। ১১ জেলায় মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ৫৩ লাখ ৬ হাজার ৪০২। পানিবন্দি ও ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দিতে ৩ হাজার ৮৭০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছিল। সেখানে ৩ লাখ ৫২ হাজার ৯৪২ জন আশ্রয় নিয়েছেন। ৩৪ হাজার ৫১৮টি গবাদি পশু আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ১১ জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসাসেবা দিতে ৫১০টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই-আজম বলেছেন, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করে শিগগিরই বন্যার্তদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। বন্যা-পরবর্তী পুনর্বাসনে প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।