নৈশ ক্লাব থেকে গ্রেফতার হয়ে শিরোনাম হয়েছিলেন ভারতের সাবেক ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না। যদিও ইতোমধ্যে মুচলেকা দিয়ে জামিন পেয়ে গিয়েছেন তিনি। এরপরেই বিবৃতি দিয়ে ক্ষমা চেয়েছেন উত্তর প্রদেশের এই অলরাউন্ডার। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, আইন না জানা থাকায় এমন ভুল করেছেন।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় রাত ১১ থেকে সকাল ৬ টা পর্যন্ত কারফিউ দিয়েছে মহারাষ্ট্র প্রাদেশিক সরকার। এ বিষয়টি দিল্লি থেকে শুটিংয়ের জন্য মুম্বাইয়ে আসা রায়নার জানা ছিল না। শুটিংশেষ হতে দেরি হওয়ায় বন্ধুর নিমন্ত্রণে রাতের খাবার খেয়ে ফিরতি ফ্লাইট ধরার পরিকল্পনাতেই এয়ারপোর্টের কাছের নৈশ ক্লাবে গিয়েছিলেন তিনি।
এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘সুরেশ মুম্বাইতে একটি শ্যুটিংয়ে এসেছিল। তা শেষ হতে মধ্যরাত পেরিয়ে যায়। এরপরেই দিল্লিতে ফেরার ফ্লাইট ধরার আগে এক বন্ধুর নিমন্ত্রণে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিল সে। স্থানীয় সময় ও আইন সম্পর্কে তার কোন ধারণা ছিল না।’
গ্রেফতারের পরেই অবশ্য জামিন পেয়ে যান সাবেক এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। নিজের অজান্তে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেছেন রায়না। বিগত সময়ের মতো ভবিষ্যতেও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবেন বলে অঙ্গীকারবদ্ধ তিনি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘নিজের ভুল বোঝার পরে তৎক্ষণাৎভাবে সে কর্তৃপক্ষের দেখানো সব পন্থা অনুসরণ করে সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন। একই সঙ্গে মনের অজান্তে এমন দুঃখজনক ঘটনা ঘটায় আন্তরিকভাবে আফসোস করেছে। সে সব সময় সরকারের প্রণীত আইন সর্বোচ্চ শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে চলে। ভবিষ্যতেও সে আইন মেনে চলবে।’
গত মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে মুম্বাই পুলিশ অভিযান চালিয়ে রাত ২টা ৩০ মিনিটে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল। একই পার্টিতে ভারতের গায়ক গুরু রান্ধাও উপস্থিত ছিলেন। তাকেও গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
মূলত নির্ধারিত সময়সীমা অতিক্রম করে এবং কোভিড রীতি অনুসরণ না করে ক্লাবটি খোলা রাখায় প্রথমে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। রায়না ও রান্ধাও ছাড়াও পার্টিতে অংশ নেয়া ৩৪ জনের সঙ্গে ওই ক্লাবের ৭ সদস্যকেও জেল হাজতে পাঠায় তাঁরা।
খুলনা গেজেট / এমএম