ধীরে ধীরে খুলনা রেল স্টেশন থেকে বিভিন্ন রুটে সব ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। তবে করোনার কারণে বন্ধ রয়েছে খুলনা-কলকাতা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেস।
এদিকে করোনা মহামারীর কারণে পাঁচ মাস খুলনা স্টেশনের কাউন্টার থেকে ট্রেনের বিক্রি বন্ধ ছিল। শনিবার থেকে কাউন্টার থেকে ২৫ শতাংশ টিকিট বিক্রি শুরু হয়। আর প্রথমদিনে কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি হয়েছে ৬০২টি।
খুলনা রেল স্টেশনের মাস্টার মানিক চন্দ্র সরকার জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে ট্রেনের মোট আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। এই ৫০ শতাংশ টিকিটের অর্ধেক ২৫ শতাংশ স্টেশনের কাউন্টারে বিক্রি করা হচ্ছে। বাকি ২৫ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে।
তিনি বলেন, খুলনা থেকে কলকাতাসহ দেশের বিভিন্ন রুটে ১১টি ট্রেন চলে। করোনার কারণে কলকাতা-খুলনা রুটের বন্ধন এক্সপ্রেস বন্ধ রয়েছে। তবে চলাচল করছে চিত্রা, সুন্দরবন, সীমান্ত, কপোতাক্ষ, রূপসা, সাগরদাঁড়ী, মহানন্দা, রকেট, নকশিকাঁথা ও বেতনা এক্সপ্রেস।
কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা প্রশান্ত কুমার বলেন, কাউন্টার থেকে প্রথম দিন শনিবার ৬০২টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। এদিন চারটি আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে চিত্রা এক্সপ্রেসে ১৯৮টি, সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেসের ১০৯টি, সুন্দরবন এক্সপ্রেসের ১৩১টি ও সীমান্ত এক্সপ্রেসের ১৬৪টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। রবিবার সব আন্তনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে রেল স্টেশনের কাউন্টারে টিকিট বিক্রি বন্ধ রাখে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দেশের বিভিন্ন রুটে পর্যায়ক্রমে সব কমিউটার, মেইল, এক্সপ্রেস এবং লোকাল ট্রেন চালু করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
খুলনা গেজেট / এমএম